ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলেন পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (PTI)- এর প্রাক্তন নেতা বলদেব কুমার। তিনি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনওয়া রাজ্যের অ্যাসেম্বলির সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে PTI-এর হয়ে সোয়াট প্রদেশ থেকে নির্বাচনে লড়েছিলেন। বর্তমানে বলদেব স্বপরিবারে ভারতের পঞ্জাব প্রদেশের খান্না শহরে রয়েছেন। ১১ অগাস্ট তিনি ভারতে এসেছেন বলে জানান। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ টেনে এনে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে বলদেব ভারত সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বলদেব বলেন, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুরা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করছে। তারা সেখানে নিরাপত্তার অভাবে ভুগছে। পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের কোনও অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। তাদের খুঁজে খুঁজে মারা হচ্ছে । আমিও অত্যাচারের শিকার। দুই বছর আমাকে জেলে রাখা হয়েছিল। আমি নিজের ইচ্ছায় এখানে (ভারতে) এসেছি। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় ও নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি। আমি পাকিস্তানে ফিরে যেতে চাই না।
এর আগে ২০১৬ সালে খাইবার পাখতুনওয়ার অ্যাসেম্বলির সদস্য স্মরণ সিংয়ের হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলদেবকে। দুই বছর জেলে থাকার পর প্রমাণের অভাবে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, বলদেবের স্ত্রী ভাবনা ভারতীয়। পঞ্জাবের খান্না শহরের বাসিন্দা ছিলেন ভাবনা। এই মুহূর্তে ভাবনার পরিবারের সঙ্গে থাকছেন বলদেব। তবে তিনি জানান, তাঁর ভাইরা এখনও পাকিস্তানেই আছেন। বলদেব বলেন, আমার ভাইরা পাকিস্তানে। তারা ভারতে চলে আসতে চায়। তারা ছাড়াও হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের বহু লোক পাকিস্তান ছেড়ে এদেশে চলে আসতে চাইছে। ওখানে গুরুদ্বারগুলি খুব বাজে অবস্থায় রয়েছে। সংখ্যালঘুদের পাকিস্তানে কোনও সম্মান নেই। জোর করে সংখ্যালঘু মেয়েদের ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করা হচ্ছে।
Be the first to comment