তিনি চেয়েছেন আলোচনায় বসতে। ভারত মুখের পরে বলে দিয়েছে, না বসব না। এতেই সম্মানে আঘাত লেগেছে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। যিনি ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক ক্রিকেট ম্যাচে দেশকে জয় এনে দিয়েছেন, কূটনীতির ক্ষেত্রে এই পরাজয় মেনে নিতে পারছেন না। তাই টুইটারে বিষ উগরে দিয়েছেন ভারতের নেতাদের বিরুদ্ধে।
টুইটারে তিনি লিখছেন, আমি শান্তি আলোচনা শুরু করতে চেয়েছিলাম। ভারত উদ্ধত ও নেতিবাচক মানসিকতা দেখিয়েছে। আমি সারা জীবন ধরে এমন সব অযোগ্য লোকের সংস্পর্শে এসেছি, যারা বড় বড় পদ দখল করে আছে। ওই পদে থাকতে হলে যে বিচক্ষণতা দরকার, তা তাদের নেই।
ইমরান গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার অধিবেশনের এক ফাঁকে ভারত ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আলোচনায় বসুন। দিল্লি থেকে জানানো হয়েছিল, ভারত রাজি।
এর পরে দুটি ঘটনায় ভারতের সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হয়। প্রথমত পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা শোপিয়ানে তিন পুলিশকর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে। দ্বিতীয়ত ২০১৬ সালে নিহত হিজবুল জঙ্গির নামে ডাকটিকিট প্রকাশ করে পাকিস্তান। তার পরে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, আমরা ভেবেছিলাম, ইমরান সত্যিই শান্তি চান। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, তাঁর এই আলোচনায় বসতে চাওয়ার পিছনে কোনও শয়তানি পরিকল্পনা আছে। তাই আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় না বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এর পরে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিও ইমরানের সুরেই বলেছেন, দুঃখজনক ব্যাপার হল, ভারত আমাদের প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিল না। আমরা অবাক ও আশাহত হয়েছি।
Be the first to comment