৩০ শে অক্টোবর পাকিস্তানের যে স্থানে ইমরান খান গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ঠিক সেই স্থান থেকেই আবারও বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছে তাঁর দল পিটিআই। তাঁর ওপর হামলার জন্য তিনি দায়ী করছেন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাস শরীফ সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ খান এবং সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর কাউন্টার ইনটেলিজেন্স বিভাগের প্রধান মেজার জেনারেল ফয়সাল নাসিরকে। তবে প্রত্যেকেই ইমরান খানের এই প্রমাণহীন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ক্ষমতা থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরেই ইমরান খান প্রতিনিয়ত বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে নির্বাচন দেওয়ার জন্য বাধ্য করে চলেছেন। তবে এর মধ্যেই ঘটে যায় হামলার মর্মান্তিক ঘটনাটি। পাকিস্তানের এই রাজনৈতিক জটিলতার মধ্যে কোন পথ অবলম্বন করতে চলেছেন ইমরান খান? তিনি কি চালিয়ে যাবেন তার আন্দোলন! নাকি সমঝোতার পথই বেছে নেবেন? এরূপ নানাবিধ প্রশ্ন উঠছে।
লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষক ডক্টর আয়েশা সিদ্দিকা জানিয়েছেন যে, “মিস্টার খানের উপর ওই গুলি ছিল ‘ওয়ার্নিং শট’, শুধুমাত্র তাঁকে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য। ওই ষড়যন্ত্রের সাথে এক বা একাধিক ব্যক্তি জড়িত। এটা একক কোনো আততায়ীর কাজ নয়।”
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ইমরান খানকে প্রথম থেকেই সামরিক বাহিনীর ‘ব্লুাইড আইড বয়’ নামে সম্বোধন করে এসেছেন। ইমরান খানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি নিয়েও নানা প্রকার অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে। পাঞ্জাবের বীভৎস বন্যার প্রভাব, দেশের সংকটজনক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বালোচিস্তানের অস্থিরতার পাশাপাশি এই রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ইতিমধ্যেই বাড়িয়ে তুলেছে পাকিস্তানের সাধারণ জনগণের উদ্বেগ।
Be the first to comment