রোজদিন ডেস্ক :-
পুজোর মুখে পাহাড়ে ধর্মঘট। সোমবার চা শ্রমিকদের ডাকা ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটে বেশ প্রভাব পড়েছে দার্জিলিং ও আশপাশের এলাকায়। দার্জিলিং শহর সম্পূর্ণ স্তব্ধ। কালিম্পং খানিকটা স্বাভাবিক থাকলেও পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও পথ অবরোধ করেছেন চা শ্রমিকরা। যার জেরে পাহাড়-সমতলের যোগাযোগ সমস্যার মুখে পড়েছে। পাহাড়ে গাড়ি ওঠানামা বন্ধ। বেড়াতে গিয়ে বিপাকে পর্যটকরা। এই পরিস্থিতিতে বোনাস সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নিল নবান্ন। সূত্রের খবর, চা শ্রমিক ও মালিকপক্ষকে আলোচনার টেবিলে এনে সুরাহা করুক শ্রমদপ্তর। এ বিষয়ে দপ্তরকে নির্দেশ দিল নবান্ন।
শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বনাম মালিকদের ১৩ শতাংশ। পুজোর বোনাস নিয়ে দার্জিলিংয়ের চা বাগানগুলিতে কার্যত ‘দরাদরি’ চলছে। কয়েকবার আলোচনা করেও সমাধান মেলেনি। ১৩ শতাংশ হারেই পুজোর বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে অনড় মালিকপক্ষ। আর শ্রমিকদের দাবি, ২০ শতাংশ হারে বোনাস দিতে হবে। দাবি আদায়ে এবার কাজকর্ম বন্ধ রেখে ১২ ঘণ্টা ধর্মঘট পালন করছে চা শ্রমিক সংগঠনগুলি। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত অশান্তিও হচ্ছে। রোহিনী, কার্শিয়াংয়ে রাস্তায় বসে অবরোধ করেছেন চা শ্রমিকরা। গাড়ি আটকানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশও ধর্মঘট রুখতে তৎপর। অশান্তি এড়াতে মৃদু লাঠিচার্জও হয়েছে বলে খবর।
পুজোর আগে পাহাড়ে এখন পর্যটনের ভরা মরশুম। ধর্মঘটের জেরে পর্যটকরা বিপদে পড়লে ব্যবসার বড় ক্ষতি। তা বুঝে বোনাস সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন। সোমবার বেলার দিকে শ্রম দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দুপক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে জট কাটিয়ে পাহাড়কে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে হবে। সূত্রের খবর, এনিয়ে শ্রমদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যসচিব। দ্রুত জট কেটে শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে এবং ধর্মঘটের জেরে পর্যটকদের ভোগান্তির ইতি ঘটাতে এই উদ্যোগ নবান্নের।
Be the first to comment