অমৃতা ঘোষ :-
ফের যৌন হেনস্তার শিকার! আরজি করের ধর্ষন ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ গোটা দেশ জুড়ে হচ্ছে। এছাড়াও ধর্ষণের মতো ঘটনার খবর দেশের নানা প্রান্ত থেকেই আসছে। দিনদিন তা যেন বেড়েই চলেছে।
এবার স্কুলের মধ্যেও এমন ঘটনা ঘটল যা সকলকে ভয় পাওয়াবে। অসমের একটি স্কুলের ছাত্রীকে জোর করে পর্নোগ্রাফি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে সেই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক এর ওপর। আর এর জেরেই স্কুলে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
অসমের করিমগঞ্জ জেলার একটি সরকারি স্কুলে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। অভিযোগ, ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক একজন ছাত্রীকে জোর করে পর্নোগ্রাফি দেখানোর চেষ্টা করেছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই বাকি পড়ুয়াদের অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। যদিও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশকে ছাত্রীর পরিবার জানিয়েছে, বিগত কয়েক দিন ধরেই এমন ঘটনা ঘটছিল। তারা কিছু সন্দেহ করছিলেন কিন্তু মেয়ে ভয়েতে তাঁদের কিছু বলেনি। অবশেষে শনিবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এরপরই স্কুলে গিয়ে বাকি পড়ুয়াদের অভিভাবকরা ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন। শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। তারপরই পুলিশ শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে। তাঁর খোঁজ শুরু করা হয়েছে।
ঠিক এমনই দিন কতক আগে উত্তরাখণ্ডে ও এমনি এক হাড়হিম করা ঘটনা ঘটে।
উত্তরাখণ্ডে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নার্সকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। এমনকি ধর্ষনের পর কোনো প্রমাণ না থাকে তার জন্য তার মাথাও থেঁতলে দেওয়া হয়। ঘটনাটি রাজ্যের উধম সিং নগর জেলার।
পুলিশ তদন্তে নেমে এক ব্যক্তিকে উত্তর প্রদেশের বেরলি থেকে গ্রেফতার করেছে। নার্সের দেহ মেলে উত্তর প্রদেশেরই রামপুর থেকে। পুলিশ সুত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি গত মাসের ৩০ তারিখের। ওই দিন নিহত নার্সের বোন স্থানীয় থানায় দিদি নিখোঁজ বলে ডায়েরি করেন। পুলিশ নার্সের কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করে। অনেল চেষ্টার পর অভিযুক্তকে উত্তর প্রদেশের বেরেলি থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। সে পেশায় দিনমজুর।
Be the first to comment