বিধানসভা উপনির্বাচনে ‘হাত’ ছাড়ল বামের, একলা চলার নীতি নিল বিধানভবন

Spread the love

 

রোজদিন ডেস্ক :-

পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে দলের ‘শক্তি যাচাই ও শক্তি বৃদ্ধি’র কথা বলেছিলেন শুভঙ্কর সরকার। সেই মতোই এবারের উপনির্বাচনে জেলা নেতাদের সম্মতিতে একলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিধানভবন। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য গতকাল সন্ধ্যায় দিল্লিতে নাম পাঠানো হয়েছে। সেই তালিকা থেকে বাছাই করা ছয়জনের নাম প্রার্থী হিসেবে দিল্লির অনুমতি নিয়ে ঘোষণা করা হবে।

এক প্রদেশ নেতা বলেন, “বিধানসভাপিছু তিনজনের নাম দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে একটি বিধানসভাতে দু’জনের নাম থাকায় মোট ১৭ জনের নামের তালিকা পৌঁছেছে দিল্লিতে। সেখান থেকে বাছাই করে দিল্লি প্রদেশ নেতৃত্বকে জানাবে, কারা কারা প্রার্থী হচ্ছেন৷ তার পরই ঘোষণা হয়ে যাবে।” ফলে এবারের উপনির্বাচনে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হচ্ছে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
শুধুই কি শক্তি যাচাই? কংগ্রেস কি বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমঝোতায় যেতে রাজি নয়? এ বিষয়ে আরেক প্রদেশ কংগ্রেস নেতা বলেন, “এমনটা বললে ভুল হবে। রাজ্যের বিভিন্ন দুর্নীতির কেলেঙ্কারির তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গতিপ্রকৃতি দেখলেই বিজেপি তৃণমূলের আঁতাত স্পষ্ট বোঝা যায়। এই দুই শক্তির বিরুদ্ধে কংগ্রেসও লড়াই করছে। কিন্তু, গত কয়েকটি নির্বাচনে কংগ্রেসই আগ-বাড়িয়ে বামেদের সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দিয়েছিল। এবারের উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেছি আমরা। কিন্তু, আমাদের কাছে অফিশিয়ালি কোনও বার্তা না-আসায় একলা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। জেলা নেতৃত্বও সেটাই চাইছে।”
যদিও এই একলা লড়াইয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আজ বিধানভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর সরকার স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। বরং, তিনি একই লক্ষ্য নিয়ে দুই রাজনৈতিক দল একই অভিমুখে হাঁটলে কী ক্ষতি হবে, সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। শুভঙ্কর সরকার বলেন, “নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে আমরা পাশাপাশি না-হেঁটে পুকুরের দু’পাশ দিয়ে হাঁটলে ক্ষতি কী?” তাহলে কি উপনির্বাচন নিয়ে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও আলোচনা হয়নি বা কংগ্রেস একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে? এ বিষয়ে শুভঙ্কর সরকার বলেন, “কংগ্রেস বরাবরই আলোচনায় বিশ্বাসী। নির্দিষ্ট সময় এলে সমস্ত কিছুই জানা যাবে। কোনও আলোচনায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হলে তখনই তো সেটা প্রকাশ্যে বলা যায়।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*