দক্ষিণবঙ্গে সাময়িক বৃষ্টির প্রকোপ কম, উত্তরে একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, ধসও নামতে পারে

Spread the love

 

রোজদিন ডেস্ক :-

এ বার সিকিমেও লাল সতর্কতা জারি করল প্রশাসন। গত মঙ্গলবার থেকে লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায়। শুক্রবারও মিরিক, দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াংয়ের নানা এলাকায় ধস নামে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিরিক দারায় পাহাড় থেকে লাগাতার বড় আকারের পাথর জাতীয় সড়কের উপরে নামার জেরে যান চলাচল বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন।

আজ, শনিবার সিকিমে লাল সঙ্কেত জারি করেছে সিকিম রাজ্য প্রশাসন। গত অক্টোবর থেকেই বিপর্যস্ত সিকিম। এ বছর মে মাসে নতুন করে বিপর্যস্ত হয়। নতুন করে সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে তাঁর প্রভাব কালিম্পং জেলাতেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা জেলা প্রশাসনের।
ভারী বৃষ্টির প্রভাবে বিপর্যস্ত শিলিগুড়িও। মহানন্দা নদী ছাড়াও ভারত-নেপাল সীমান্ত মেচি নদীতেও হু হু করে জল বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফুলবাড়িতে সেচ দপ্তরের আধিকারিকেরা মহানন্দা ব্যারাজের সমস্ত গেট এদিন সকালে খুলে দেন। তাতে শিলিগুড়ি শহরে বিপদ এড়ানো গেলেও দুপুরে মেচি নদী পেরিয়ে নেপাল থেকে গোরুর দুধ আনার সময়ে জলের তোড়ে ভেসে যান এক গোয়ালা। স্থানীয় বাসিন্দারা ভেসে যেতে দেখে নকশালবাড়ি থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও প্রবল জলের তোড়ে উদ্ধার কাজে নামা সম্ভব হয়নি। বাগডোগরায় জলের তলায় ডুবে গিয়েছে এশিয়ান হাইওয়ে।
পুজোর মুখে এমন বৃষ্টিতে নাকাল পূর্ত দপ্তর। কোথায় ধস মেরামতিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তা ঠিক করতেই নাকাল হচ্ছেন তাঁরা। জাতীয় সড়ক ছাড়াও ধস নেমেছে দার্জিলিং কলেজ, কালিম্পংয়ের ভালুখোপ, ইয়ামাকুম, বিজনবাড়ির কাছে রিম্বিক, সুখিয়াপোখরি এলাকাতেও।
শুক্রবার সকালে নতুন করে ধস নামে দার্জিলিঙের মিরিক ও ঘুমে। একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানিঘাটা রোডও ধসের জেরে বিপর্যস্ত। রাস্তার একাংশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। বৃহস্পতিবারও ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশে ধস নামে। ফলে শিলিগুড়ি এবং গ্যাংটকের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী রাস্তায় যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়। এই বর্ষার মরশুমে মোট ন’বার ধস নামল দার্জিলিং পাহাড়ে।
অবিরাম বৃষ্টিতে জল বাড়ছে তিস্তাতেও। তাই তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সতর্ক করল প্রশাসন। বিপদ এড়াতে কয়েকটি এলাকায় নজরদারি শুরু হয়েছে।
শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টি হতে পারে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার। ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে পাহাড়ে ধস নামতে পারে। বাড়তে পারে বিভিন্ন নদীর জলস্তর। চাষেরও ক্ষতি হতে পারে। আগে থেকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*