দেশজুড়ে বৃহস্পতিবারেই আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছিল ১.৬ লক্ষ। এরই মধ্যে আমেরিকার জন হপকিন্স ইউনিভারসসিটির তথ্য বলছে করোনায় মৃত্যুর বিচারে চিনকেও পিছনে ফেলেছে ভারত। আক্রান্ত হয়েছেন চিনের থেকে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যার মানুষ।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির পরিসংখ্যান বলছে, চিনে যেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ হাজার ১০৬ জন, সেখানে ভারতে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩৮৬ জন আক্রান্ত হওয়ায় সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ। পাশপাশি বৃহস্পতিবার রাতের তথ্য বলছে চিনের মৃত্যু সঙ্খ্যাকেও পার করে ফেলেছে ভারত। চিনে করোনার জেরে মৃতের সংখ্যা ৪৬৩৮, কিন্তু ভারতে ইতিমধ্যে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭১১।
২০১৯ এর ডিসেম্বরে চিনের উহানে শুরু হয়েছিল করোনা সংক্রমণ। এরপর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস। সারা বিশ্বে ৫৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই রোগের কবলে পড়েছেন। বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৩ লাখেরও বেশি। তবে গত কয়েকদিনে চিনে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম।
সারা বিশ্বজুড়ে করোনার ভয়াবহ প্রকোপ পড়লেও মারাত্মক অবস্থা আমেরিকায়। সেখানে ১৭ লক্ষেরও বেশি ম্নুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে ভারত ছাড়াও ব্রাজিল, রাশিয়া, ব্রিটেন, স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স এবং জার্মানির অবস্থা করোনায় শোচনীয়। বর্তমানে করোনার বিচারে ১৪ তম নম্বরে রয়েছে চিন।
অন্যদিকে করোনা নিয়ে চিনের ওপর বারেবারে খড়্গহস্ত হয়েছে আমেরিকা। একাধিক বার চিন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন ট্রাম্প। একাধিকবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পরেও চিনের একাধিক তথ্য গোপন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-কে অর্থ সাহায্য বন্ধ করারও হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের অভিযোগ, ২০১৯ সালের ৩০শে ডিসেম্বর তাইওয়ান হু-কে জানিয়েছিল উহানের কথা। কিন্তু গ্রাহ্য করা হয়নি। সেদিন ব্যবস্থা নিলে, আজ এই দিন দেখতে হত না। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ চিন যে তথ্য চেপে রেখেছে তাও জানত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু তারাও মুখ খোলেনি। করোনা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পরেও করোনার উৎস নিয়ে মুখ খোলেনি হু।
Be the first to comment