যুবভারতী স্টেডিয়ামে ৮০ হাজার দর্শকের তুমুল উৎসাহ। একনাগাড়ে ‘ইন্ডিয়া’-এর নামে চিৎকার। কিন্তু মঙ্গলবার বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ধারক ম্যাচে প্রতিবেশী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হারতে হারতে ম্যাচ বাঁচালো ভারতীয় ফুটবল দল। অথচ ফুটবল বিশেষজ্ঞরা অনেকেই দুর্বল বাংলাদেশের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিলেন সুনীল ছেত্রীদের। কিন্তু যুবভারতীতে নীল জার্সিধারীদের সঙ্গে সমানে-সমানে টক্কর দিল সবুজ-লাল জার্সি।
এদিন খেলার শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা জমে উঠেছিল। কিন্তু প্রথম ছন্দপতন ঘটে ম্যাচের ৪২ মিনিটে। বাংলাদেশের জামালের ক্রসের ফ্লাইট মিস করেন ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু। সেখান থেকেই সাদউদ্দিন দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই অল আউটে আক্রমণে গেলেও বাংলাদেশের বক্সের মধ্যে গিয়ে বারবার খেই হারিয়ে ফেলছিলেন সুনীল বাহিনী।
যখন প্রায় ধরেই নেওয়া হচ্ছিল, লজ্জার হার অপেক্ষা করছে ভারতের জন্যে। আর তখন অর্থাৎ ম্যাচের ৮৮ মিনিটে ভারতের হয়ে জ্বলে উঠলেন আদিল খান। কর্ণার থেকে লাফিয়ে উঠে গোল করে যান আদিল। শেষের পাঁচ মিনিট দুদলই শেষ চেষ্টা করেছিল বটে, কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। ১-১ গোলে অমীমাংসিতই থেকে গেলো দুই প্রতিবেশীর লড়াই।
শেষ ম্যাচে ভারত কাতারের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল। বাংলাদেশ আবার কাতারের বিপক্ষে হেরে ভারতের বিপক্ষে নেমেছিল। এদিন সুনীল ছেত্রী প্রত্যাবর্তন করলেন বটে কিন্তু কাঙ্খিত সাফল্য দিতে পারলেন না দেশকে। মঙ্গলবারের পর গ্রুপের ভারত-বাংলাদেশের লড়াই আরও কঠিন হয়ে উঠলো একথা বলাই চলে।
Be the first to comment