লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চিনের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা। ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনীর হাতাহাতিতে ২০ জন সেনা শহিদ হয়েছে বলে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে। পালটা ক্ষতি চিনের দিকেও। মনে করা হচ্ছে, প্রায় ৩৯ সেনা-জওয়ান চিনের দিকে হতাহত হয়েছে। চরমে উত্তেজনা। এই পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ১৯ তারিখ পাঁচটার সময় এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমেই এই বৈঠক হবে বলে জানা যাচ্ছে।
বুধবার পিএমও’র তরফে একটি টুইটবার্তায় বলা হয়, ‘ভারত-চিন সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ১৯ জুন বিকেল পাঁচটার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভাপতিরা এই ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণ কররেন।’
গত সোমবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারত এবং চিনের লাদাখের গানওয়াল সেক্টর। দু’সেনের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রথমে বচসা এরপর হাতাহাতি ব্যাপক পর্যায়ে এসে পৌঁছয়। ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে হওয়া হাতাহাতি মারপিঠে ভারতীয় সেনার ২০ জন শহিদ হয়েছে। চিনেরও দিকেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। যদিও এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন চুপ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
রাহুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নীরব কেন? তিনি কী লুকোচ্ছেন? যথেষ্ট হয়েছে। আমরা জানতে চাই কী হয়েছে। আমাদের সেনা জওয়ানদের হত্যার সাহস কীভাবে পায় চিন? আমাদের ভূখণ্ড দখল করার সাহস হয় কীভাবে?’ অনেকে মোদীকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করছেন যে, পাকিস্তানের বেলায় যে ৫৬ ইঞ্চির ছাতির কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী, চিনের ক্ষেত্রে কেন এখনও ব্যবস্থা নয়?
আর এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্যেই সর্বদল বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে, সোমবার রাতে ঠিক কি ঘটেছিল সীমান্ত, তা প্রথমে বিরোধীদের জানানো হবে। এরপরে ভারতের রণকৌশলই বা কি সেই বিষয়ে তথ্য শাসক এবং বিরোধী দলের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, চিন ভারত সেনাদের সংঘর্ষে ২০ জন জওয়ানের শহিদ হওয়ার ঘটনা রাতে জানা যেতেই রাতে বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদী। শীর্ষ মন্ত্রী ও সেনা প্রধানদের সঙ্গে এই বৈঠক সারেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এম এম নারভানে রাত দশটার দিকে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
Be the first to comment