‘ভারত কোনও ধর্মশালা নয়’, লোকসভায় ‘অভিবাসী’ বিল পাশ করেই হুঁশিয়ারি ‘শাহ’র

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- লোকসভায় পাশ হল ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স বিল ২০২৫’। শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে জবাবও দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর কথায়, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ভারতে কারা আসছে, কতদিনের জন্য আসছে, দেশের সুরক্ষার জন্য তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শাহের কথায়, এই দেশ অর্থাৎ ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। যে কেউ চাইলেই থাকতে পারবে না।’
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি কেউ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে ভারতে আসেন, তবে তাঁকে সবসময় স্বাগত জানানো হবে। যারা পর্যটক হিসেবে, শিক্ষার জন্য, স্বাস্থ্য পরিষেবা দানের জন্য, গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য, ব্যবসার জন্য ভারতে আসতে চান, আমি তাঁদের সকলকে স্বাগত জানাই। কিন্তু যারা দেশের জন্য হুমকি বয়ে নিয়ে আসে, আমরা তাদের উপর কড়া নজর রাখব এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
এ দিন এই বিলের উপরে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিতর্ক চলে লোকসভায়। বিলটির বিষয়ে শাহ আরও জানান, এই প্রস্তাবিত আইন দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবে। অর্থনীতি ও ব্যবসা চাঙ্গা হবে এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত উৎসাহ পাবে। তিনি বলেন, ‘অভিবাসন কোনও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এটি বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে জড়িত। ভারতে ভ্রমণকারী প্রত্যেকের উপর নিবিড় নজরদারি নিশ্চিত করবে এই বিল। তারা কেন ভারতে আসছে এবং কত দিন তারা ভারতে থাকতে চায়, সব জানা যাবে। ভারতে ভ্রমণকারী প্রতিটি বিদেশির সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অত্যন্ত জরুরি।
*এই নতুন বিলে কি কি উল্লেখ আছে:-* ভারতে আসতে বৈধ পাসপোর্ট প্রয়োজন। ভিসা অনিবার্য কোনও নথি জাল ধরা পড়লে কঠিন থেকে কঠিন শাস্তির বিধান নয়া বিলে। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যারা দেশে থাকবেন তাদের ট্র্যাক করা হবে। যদি কোনও বিদেশীর আসার ক্ষেত্রে অন্য কোনও দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ঢুকতে নাও দেওয়া হতে পারে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন অভিভাসন আধিকারিকরাই।
এই বিলের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এদিন সিএএ-র প্রসঙ্গও তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহ বলেন, ‘শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের একটা ইতিহাস আছে। ভারতে আসা শরণার্থীরা আজও নিরাপদে আছেন। গোটা বিশ্বের মধ্যে একমাত্র মাইক্রো সংখ্যালঘুরা ভারতে সম্মানের সঙ্গে বসবাস করে। এদিন রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশিদেরও কড়া বার্তা দেন শাহ।’ তিনি বলেন, ‘ব্যবসা থেকে শিক্ষা, অর্থনীতি সহ ভারতে যে সমস্ত মানুষ অবদান রাখতে চান তাঁদেরকে অবশ্যই স্বাগত জানাব। এমনকি রোহিঙ্গা কিংবা বাংলাদেশি হলেও সমস্যা নেই’, তবে তাঁরা যদি এখানে অশান্তি ছড়াতে আসে সেক্ষেত্রে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*