সিরিজ জয় আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল৷ সুযোগ ছিল নিউজিল্যান্ডকে তাদের ঘরের মাঠে প্রথমবার কোনও টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার৷ সুযোগটাকে যথাযথ কাজে লাগিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে কিউয়িদের ক্লিন স্যুইপ করল টিম ইন্ডিয়া৷
বে ওভালে সিরিজের শেষ টি-২০ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৭ রানে পরাজিত করল ভারত৷ টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৩ রান তোলে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া৷ অধিনায়কোচিত হাফ-সেঞ্চুরি করেন হিটম্যান৷ ব্যাট হাতে তাঁকে যথাযথ সঙ্গত করেন লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়স আইয়ার৷
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৬ রানের বশি তুলতে পারেনিষ ব্যর্থ হয় টিম সেফার্ত ও রস টেলরের জোড়া হাফসেঞ্চুরি৷ জসপ্রীত বুমরাহ দুরন্ত বোলিং করেন৷ পালা করে উইকেট তোলেন নভদীপ সাইনিস শার্দুল ঠাকুর, ওয়াশিংটন সুন্দররা৷ শিবম দুবে এক ওভারে ৩৪ রান খরল করলেও ভারতের জয় আটকায়নি তাতে৷
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন রোহিত৷ কাফ মাসলে টান ধরায় মাঠ ছাড়তে হয় হিটম্যানকে৷ অবসৃত হওয়া আগে ৪১ বলের ইনিংসে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি৷ লোকেশ রাহুল ৩৩ বলে ৪৫ ও শ্রেয়স আইয়ার ৩১ বলে ৩৩ রান করেন৷ ৪ বলে ১১ রানের যোগদান রাখেন মণীশ পান্ডে৷
পালটা ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ১৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে৷ সেফার্ত ও টেলর জুটি বিপর্যয় রোধের চেষ্টা করলে ক্রমশ চাপ বাড়তে থাকে কিউয়িদের উপর৷ একসময় ১১ ওভারে জয়ের জন্য ১০০ রান দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের৷ ১০ নম্বর ওভারে শিবম দুবে ৩৪ রান খরচ করার পর ম্যাচ নাগালের মধ্যে চলে আসে কিউয়িদের৷ শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য ৬৬ রান দরকার থাকলেও ৫৮ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি তারা৷
সেফার্ত ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩০ বলে ৫০ রান করেন৷ কেরিয়ারের ১০০তম আমন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলতে নেমে ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ বলে ৫৩ রান করে আউট হন টেলর৷ শেষ ওভারে ২টি ছক্কার সাহায্যে ইস সোধি করেন ১৬ রান৷
জসপ্রীত বুমরাহ ৪ ওভারে ১টি মেডেনসহ ১২ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন৷ সাইনি ও সার্দুল নেন ২টি করে উইকেট৷ ১টি উইকেট ওয়াশিংটনের৷ ম্যাচের সেরা হন বুমরাহ৷ সিরিজ সেরা লোকেশ রাহুল৷
Be the first to comment