এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল ভারত। রবিবার সুপার ফোরে ভারতকে হারিয়ে বদলা নিল পাকিস্তান। ভারত ২০ ওভারে করেছিল ৭ উইকেটে ১৮১ রান। পাকিস্তান ৩ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয়। পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। রবিবাসরীয় ম্যাচে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিং করতে পাঠায় পাকিস্তান। শুরুতে ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল ঝড় তুলেছিলেন। ভারত তখন ছুটছিল। মনে হচ্ছিল ২০০-র কাছাকাছি পৌঁছে যাবে ভারত। কিন্তু রোহিত শর্মা কেন যে হ্যারিস রাউফকে তুলে মারতে গেলেন, তা তিনিই ভাল বলতে পারবেন। খুশদিল শাহ ক্যাচটা ভাল নিয়েছেন রোহিতের (২৮)। ভারত প্রথম উইকেট হারায় ৫৪ রানে।
রোহিত চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ফিরে যান লোকেশ রাহুল (২৮)। শাদাব খানকে তুলে মারতে গিয়ে আউট হন কেএল রাহুল। সূর্যকুমার যাদব হংকংয়ের বিরুদ্ধে রানের গতি বাড়িয়েছিলেন। এদিন ব্যর্থ হন সূর্য (১৩)। ঋষভ পন্থও (১৪) হতশ্রী শট খেলে ডাগ আউটে ফিরে যান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়া ম্যাচ জিতিয়েছিলেন ভারতকে। এদিন তিনি খাতা না খুলেই ফিরে যান। কিন্তু ভারত ১৮১ রানে পৌঁছয় বিরাট কোহলির জন্য। তিনি ৬০ রানে রান আউট হন। কিন্তু পরপর উইকেট হারিয়ে ভারত যখন কিছুটা হলেও চাপে, সেই সময়ে কোহলি দলের হাল ধরেন।
ভারতের রান তাড়া করতে নেমে বাবর আজম ফেরেন ১৪ রানে। চাহালের শিকার ফকর জামান (১৫)। দু’ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান একসময়ে হয়ে গিয়েছিল ৬৩। ঠিক এই অবস্থা থেকে পাকিস্তানকে টেনে তোলেন রিজওয়ান এবং মহম্মদ নওয়াজ। রিজওয়ান কতটা কার্যকরী ব্যাটিং করেন, তা দেখা গিয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এদিন দরকারের সময়ে রিজওয়ানের সঙ্গে মহম্মদ নওয়াজ আক্রমণ নিয়ে যান ভারতের ক্যাম্পে। পাক অধিনায়ক বাবর আজম ব্যাটিং অর্ডারে উপরের দিকে পাঠান নওয়াজকে। তিনি মারমুখী ব্যাটিং করেন। নওয়াজ ও রিজওয়ানের ব্যাটিং ভারতকেই চাপে ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু মোক্ষম সময়ে ভুবনেশ্বর কুমার ফেরান মহম্মদ নওয়াজকে। আউট হওয়ার আগে ২০ বলে ৪২ রান করে যান তিনি।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা রিজওয়ানকে আউট করেন হার্দিক। এদিন ব্যাট হাতে কিছু করতে পারেননি। বল হাতেও জ্বলে ওঠেননি। রান দিয়েছেন। কিন্তু যখন রিজওয়ানের (৭১) উইকেট দরকার ঠিক সেই সময়ে হার্দিক কিন্তু কাজের কাজটা করেন। কিন্তু ভুবনেশ্বর কুমারের মতো অভিজ্ঞ বোলার ১৯ তম ওভারে আটকে রাখতে পারেননি পাক ব্যাটারদের। রান দিয়ে ফেলেন। ফলে শেষ ওভারে জেতার জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ৭ রান। অর্শদীপ সিং সেই রান আটকাতে পারেননি। নিজেও ক্যাচ ছেড়েছেন। বল হাতেও কিছু করতে পারলেন না।
Be the first to comment