বোলারদের সৌজন্যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকে রাখা গিয়েছিল ২২৭ রানে। বুধবার জয়ের লক্ষ্য এমন কিছু বড় ছিল না ৷ তবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ভারতের সামনে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ালো প্রাথমিক জড়তা। এদিন ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হেরে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ভারতের মুখোমুখি হয়ে লাভের লাভ কিছুই করতে পারলো না দক্ষিণ আফ্রিকা ৷ টিম ইন্ডিয়ার কাছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হার মানতে হলো তাদের। রোহিত শর্মার দুরন্ত শতরানের সুবাদে ভারত ৪৭.৩ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৩০ রান তুলে ম্যাচ জিতে এবং প্রত্যাশিত জয় দিয়েই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করলো বিরাট বাহিনী।
এদিন ভারতের বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ৬ ওভারে মাত্র ২৪ রানে দুই ওপেনারকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ ওভারেই হাশিম আমলাকে (৬) ড্রেসিংরুমের রাস্তা দেখান বুমরাহ ৷ দ্বিতীয় স্লিপে আমলার ক্যাচ ধরেন রোহিত শর্মা ৷ ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে অপর ওপেনার কুইন্টন ডি’কককে (১০) আউট করেন বুমরাহ ৷ তৃতীয় স্লিপে ডি’ককের ক্যাচ ধরেন ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। প্রথম স্পেলে ৫ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে দুই ওপেনারকে তুলে নেন বুমরাহ ৷ দ্বিতীয় স্পেলে অবশ্য বেশ কিছু রান খরচ করেন বিরাটের দলের নম্বর ওয়ান পেসার ৷ শেষমেশ ১০ ওভারে ৩৪ রান খরচ করে দু’টি উইকেট পান তিনি। বুমরাহের প্রথম স্পেলের পর প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখেন লেগ-স্পিনার যুবেন্দ্র চাহাল ৷ চার প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানকে ড্রেসিংরুমে ফেরান তিনি। ১০ ওভারে ৫২ রান দিয়ে চারটি উইকেট তুলে নেন চাহাল।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৭ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর মরিসের ৷ ৩২ বলে একটি বাউন্ডারি ও দু’টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৪২ রান করেন তিনি। ৩৫ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন রাবাদা। এছাড়া ক্যাপ্টেন ডু’প্লেসি ৩৮, ডেভিড মিলার ৩১ এবং ফেলুকাওয়ো ৩৪ রান করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত শুরুতেই শিখর ধাওয়ানের উইকেট হারিয়ে বসে। ৮ রান করে রাবাদার বলে ক্যাচ আউট হন ধাওয়ান ৷ বিরাট কোহলি ১৮ রানের বেশি এদিন করতে পারেননি। ভারত অধিনায়ককে ফেরত পাঠান ফেলুকাওয়। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে লোকেশ রাহুল ২৬ রান করে রাবাদার দ্বিতীয় শিকার হন। রোহিতের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটের জুটিতে ৮৫ রান যোগ করেন রাহুল। এরপর মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারতকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যান রোহিত। ইতিমধ্যে ব্যাক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকে যান হিটম্যান। ১০টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১২৮ বলে শতরান পূর্ণ করেন তিনি। মরিসের বলে ধোনি আউট হন ৩৪ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে। পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয় এনে দেন রোহিত। তিনি ১৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৪৪ বলে ১২২ রান করে অপরাজিত থাকেন। পান্ডিয়া ৭ বলে ১৫ রান করে নটআউট থেকে যান। দুরন্ত শতরানের সুবাদে ম্যাচের সেরা হন রোহিত শর্মা।
Be the first to comment