প্রথম তিন ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলা দেখে মনে হয়েছিল ভারতকে এই সিরিজ জয় করতে বেগ পেতে হবে। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে পার্থক্যটা চোখে পড়ল। বিশেষ করে পঞ্চম ওয়ান ডে’তে প্রথমে ব্যাট করে ভারতীয় বোলারদের সামনে রীতিমতো নাকানি চোবানি খেতে হলো ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের।
শেষ ম্যাচে বোলিং শক্তি বাড়ানোর জন্য এক ব্যাটসম্যান কম খেলিয়েছিলেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। শুরুতেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ওভারেই ভুবনেশ্বরের সুইংয়ের সামনে পরাস্ত হতে হয় পাওয়েলকে। শূন্য রানে আউট হন তিনি। পরের ওভারেই ফর্মে থাকা শাই হোপকে শূন্য রানে বোল্ড করেন বুমরাহ। মাত্র ২ রানে ২ উইকেট পড়ে যায়।
রভম্যান পাওয়েল ও অভিজ্ঞ স্যামুয়েলস কিছুটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জাদেজার সামনে ২৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান স্যামুয়েলস। নির্দিষ্ট ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ভারতীয় বোলারদের সামনে রীতিমতো তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং। রভম্যান পাওয়েল, স্যামুয়েলস ও হোল্ডার ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফর্মে থাকা শিমরন হেটমায়েরও রবীন্দ্র জাদেজার শিকার হন।
শেষ পর্যন্ত ৩১.৫ ওভারে ১০৪ রানে অল আউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের হয়ে রবীন্দ্র জাদেজা ৪ উইকেট নেন। বুমরাহ ও খলিল আহমেদ ২ টি উইকেট নেন। কুলদীপ ও ভুবনেশ্বর একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এখন দেখার কত তাড়াতাড়ি এই রান তাড়া করে সিরিজ নিজেদের দখলে করতে পারে বিরাট বাহিনী।
Be the first to comment