টাকা তো নয় যেন উসেইন বোল্ট। বারংবার ভাঙছে সর্বকালের রেকর্ড। তবে উসেইনের রেকর্ড হল ছিল গৌরবের। আর টাকার নয়া রেকর্ড ভারতীয় অর্থনীতির জন্য দুশ্চিন্তার। ডলারের বিনিময়ে টাকার দাম অনেকদিনই পেরিয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বয়স। এখন তা ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের স্বাধীনতার বয়সের আশেপাশে।
সোমবারেই টাকার দাম ছুঁল নতুন সর্বনিম্ন মাত্রা। ডলারের বিনিময়ে টাকার দাম হল, একাত্তর টাকা দশ পয়সা।
নোটবন্দীর পর দীর্ঘ অর্থনৈতিক মন্দা পেরিয়ে এপ্রিল থেকে জুন এই তিনমাসে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারতের অর্থনীতি। বৃদ্ধির হার পোঁছেছিল ৮.২ শতাংশ হারে। এর জন্য মূল কৃতিত্ব দেশের উৎপাদন ও কৃষিক্ষেত্রের। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমশ বেড়ে চলা অপরিশোধিত তেলের দামের কারণে বাড়ছে ডলারের চাহিদা। ফলে দাম পড়ছে টাকার।
নোটবন্দীর পরে ভারতীয় অর্থনীতির খারাপ হালের জন্য অবশ্য মোদী নন, দায়ী রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রঘুরাম রাজনের নীতি। সোমবারেই এমন অভিযোগ করেছেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার।
ইউপিএ সরকারের আমলেও টাকার দাম বাড়লেই কেন্দ্রের দিকে তোপ দাগতেন নরেন্দ্র মোদী। বলতেন, কংগ্রেসের অকর্মণ্যতাই দায়ী এই জন্য। এমনকি একবার ব্যঙ্গ করে এমনও বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বয়স ছোঁবে টাকার দাম।
মোদী সরকারের আমলেই টাকার এই বাড়বাড় দাম পড়ায় এখন পালটা মোদীকে ঠুকছেন বিরোধীরা। কিছুদিন আগেই রাহুল গান্ধী টুইট করে লিখেছিলেন, টাকার দামও অনাস্থা প্রকাশ করছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে।
এখনও দিল্লির বিরোধী মহল ছেড়ে কথা বলছেন না মোদীকে। দিল্লির রাজনৈতিক মহলের অনেকে এখন রসিকতা করে বলছেন, হয়ত টাকা কদিন পরেই সত্যি সত্যিই মনমোহনের বয়স ছুঁয়ে ফেলবে। তবে সেটা ইউপিএ নয়, হবে মোদীর আমলেই।
Be the first to comment