পাকিস্তানে ভারতের হাই কমিশনের সঙ্গে যুক্ত দুই ভারতীয় আধিকারিক নিখোঁজ। শেষ দু’ঘণ্টা থেকে তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকারকে জানানো হয়েছে এবং সব তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ভারত সরকারের তরফে সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তান সরকারকে জানানো হয়েছে এবং সব তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, দু’জন ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মী CISF চালক এবং তাঁরা সেই মুহূর্তে ‘অন-ডিউটি’ ছিলেন এবং তাঁরা তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি। রিপোর্টে মন্তব্য করে, প্রাক্তন কূটনীতিক শরত সবরওয়াল পাকিস্তানকে কটাক্ষ করেছেন। ‘কোড অফ কনডাক্ট’ লঙ্ঘন করার জন্য ইসলামাবাদকে উত্তর দিতে হবে বলেও জানা গিয়েছে।
ডিফেন্স এক্সপার্ট এ কে সিং পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে জানিয়েছেন, এই ঘটনা প্রথমবার নয়, এর আগেও ঘটেছে। তিনি একাধিকবার বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান একটি ‘দুর্বৃত্ত দেশ’।
সাধারণত জানা যায়, পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস ইন্টালিজেন্স সারাক্ষণ ভারতীয় কূটনীতিকদের এবং হাই কমিশনের অন্যান্য কর্মীদের চোখে চোখে রাখেন। দিল্লিতে দু’জন পাকিস্তান হাই কমিশনের আধিকারিককে বহিষ্কৃত করার দু’দিনের মধ্যেই সোমবার এমন ঘটনা ঘটেছে। ঐ দুই ব্যাক্তি রাজধানীতে হাই কমিশনের ভিসা সেকশনে কাজ করতেন।
শুধু তাই নয়, ভারতের তরফে দুই ব্যাক্তির গাড়ির চালকদেরও বহিষ্কার করা হয়েছে, আবিদ হুসেন এবং মহম্মদ তাহির দুজনেই স্পাই রিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জাভেদ হুসেন, চালক ভারতের সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছে, তিনি ঐ ব্যাক্তিদের রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ঘোরাফেরা করতেন।
যখন থেকে ভারত পাকিস্তান হাই কমিশনের আধিকারিককে বহিষ্কৃত করেছে সেই সময় থেকে ইসলামাবাদ থেকে জোরালো প্রতিবাদ শোনা গিয়েছে। এমনকি ভারতের দূতকে হাজিরা দিতেও বলা হয়েছে শুধুমাত্র অসন্তোষ প্রকাশের জন্য।
সম্প্রতি, ভারতীয় কূটনীতিককে পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস ইন্টালিজেন্সের ব্যাক্তিদের দ্বারা খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। আইএসআইয়ের ব্যাক্তিরা ইন্ডিয়ান চার্জ দি’অ্যাফেয়ার্স গৌরব আলুওয়ালিয়ার বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল এবং বেরতেই তাঁর গাড়ি ফলো করা শুরু হয়। এ বিষয়ে একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় কূটনীতিককে টানা তাড়া করছে।
Be the first to comment