
রোজদিন ডেস্ক: দীর্ঘ ৬ বছর পর শ্রীলঙ্কা সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার রাতে কলম্বো বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। শনিবার সকালে দ্বীপরাষ্ট্রের রাজধানীতে ঐতিহাসিক ইন্ডিপেন্ডেন্স স্কোয়ার তাঁকে অভ্যর্থনা জানান প্রেসিডেন্ট দিসানায়েকে।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টে লেখেন, “কলম্বোর ইন্ডিপেন্ডেন্স স্কোয়ারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে। দু’দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে ও জনগণের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা এগিয়ে চলেছে।” প্রশাসনিক আধিকারিকদের মতে, এই প্রথম কোনও বিদেশি নেতাকে এমন গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক সম্মানে সম্মানিত করল শ্রীলঙ্কা।
Glimpses from the ceremonial welcome in Colombo this morning.@anuradisanayake pic.twitter.com/88k2T1NN20
— Narendra Modi (@narendramodi) April 5, 2025
২০১৯ সালে শেষবার শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিগত ৬ বছরে দ্বীপরাষ্ট্রের রাজনীতি ও অর্থনীতি প্রেক্ষাপটে বিপুল পরিবর্তন ঘটেছে। তিন বছর আগে ব্যাপক অর্থসঙ্কটে কার্যত ধসে পড়ে সেদেশের অর্থনীতি। দেনার দায়ে জর্জরিত দেশের পাশে এসে দাঁড়ায় ভারত। শ্রীলঙ্কাকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হয় ভারতের তরফে।
অর্থসঙ্কটের আবহে সেদেশের রাজনৈতিক পটচিত্রেরও পরিবর্তন ঘটে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেদেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বামপন্থী নেতা অনুরা কুমারা দিসানায়েকে। দায়িত্বে আসীন হওয়ার পরই প্রথম ভারত সফর করেন তিনি। সেই সফরে একাধিক মউ চুক্তি স্বাক্ষর করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। জানা গিয়েছে, মোদির দু’দিনের সফরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে মউ স্বাক্ষর করতে চলেছে দুই প্রতিবেশী দেশ।
সম্প্রতি, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমশ প্রভাব বাড়াচ্ছে চিন। এই আবহে ঋণ সঙ্কটের মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রের হাম্বানটোটা বন্দরে চিনা স্যাটেলাইট ট্র্যাংকিন জাহাজের নজরদারি নিয়ে শ্রীলঙ্কা ও নয়াদিল্লির মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ে জটিলতা দেখা দেয়। উল্লেখ্য, ৩৫ বছর আগে শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতের শান্তিরক্ষী বাহিনী তুলে নেওয়া হয়। সেই তিক্ততা ভুলে এবার দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কলম্বোয় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সন্তোষ ঝাঁ বলেন, “প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত বরাবর শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা করেছে। আগামী দিনেও করা হবে। ভবিষ্যতে দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও মজবুত হোক, এটাই কাম্য।”
Be the first to comment