
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের লাকি ম্যাসকটের নাম দিমিত্রি পেত্রাতোস। শেষ বেলায় পরিবর্ত হিসেবে নেমে আইএসএল লিগ শিল্ড জয়ের গোল উপহার দিলেন তিনি। ম্যাচের ফল ১-০। পরপর দু’বার তাঁর পা থেকে এল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের লিগ শিল্ডের জয়ের গোল। পরপর দু’বার আইএসএলে লিগ শিল্ড জয়ের নজির সবুজ-মেরুনের।
অথচ অপেক্ষা বাড়ছিল মোহনবাগানের। আইএসএল লিগ শিল্ড জয়ের প্রত্যাশায় ভিড় করা হাজার ষাটেক সবুজ-মেরুন জনতা প্রিয় দলের লিগ শিল্ড জয়ের ডাবল মাঠে থেকে দেখবেন বলে ভিড় করেছিলেন। কিন্তু নিষ্ফলা ম্যাচের দিকে এগোচ্ছিল পুরো প্রেক্ষাপট। ভুবনেশ্বরের পরে কলকাতাতেও মোহনবাগান বনাম ওড়িশা ম্যাচ গোলশূন্য ড্র।
২২ ম্যাচে ৫০ পয়েন্টে কলকাতাতে শেষ করবে সবুজ-মেরুন! এটা সবাই যখন ধরে নিয়েছে, তখনই পেত্রাতোস ম্যাজিক। সামনে মুম্বই সিটি এফসি, এফসি গোয়া ম্যাচ। তার আগেই লিগ শিল্ডের রং সবুজ-মেরুন। রবিবার সন্ধ্যায় এক গোলে জয়ে শুধু অপেক্ষার মধুরেণ সমাপয়েত। খেতাব কলকাতাতে পকেটে পুরতে মোলিনা চেষ্টার কসুর করেননি। ম্যাকলারেন এবং গ্রেগ স্টুয়ার্ট জুটিকে দিয়ে শুরু করে ৭৫ মিনিটের পরে কামিংস-পেত্রাতোস জুটিকে ব্যবহার করলেন। আশিক কুরুনিয়ান’কে নামালেন। একপেশে আক্রমণে ওড়িশাকে চেপে ধরল মোহনবাগান।
মূর্তাদা ফল ৮৪ মিনিটে লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যান। বাকি সময় দশজনে খেলল ওড়িশা। তবে তাতে সবুজ-মেরুনের কৃতিত্ব খাটো করা যাবে না। পুরো ম্যাচের রাশ ধরে রেখেছিল। তবে ওড়িশা রক্ষণের জমাট ভাব খুলতে পারছিল না তারা। প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে স্টুয়ার্টের শট বেঁচে যাওয়া ছাড়া বলার মত কিছু নেই। দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবি। বারবার আক্রমণ ওড়িশা রক্ষণে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসছিল। শেষ পর্যন্ত পেত্রাতোসের বাঁ-পায়ে ওড়িশার রক্ষণ ভাঙল। ৭৮ মিনিটে পেত্রাতোসের শট জালে জড়াতেই শব্দব্রহ্ম আছড়ে পড়ল আকাশে-বাতাসে। আর পেত্রাতোস জবাব দিলেন উপেক্ষার। ফিরে পেলেন তাঁর সোনালি ছোঁয়া। যার সামনে ওড়িশা মুখ থুবড়ে পড়ল।
Be the first to comment