ইন্দোরে ভারতের কাছে ইনিংসে হার বাংলাদেশের

Spread the love

ঐতিহাসিক দিন-রাতের টেস্টে ইডেনে পা-রাখের আগেই বিরাটদের কাছে ইনিংসে হারল বাংলাদেশ ৷ মাত্র তিন দিনেই ইন্দোর টেস্ট জিতে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-০ এগিয়ে গেল ভারত ৷ বেঙ্গল টাইগারদের ইনিংস ও ১৩০ রানে হারায় কোহলি অ্যান্ড কোং ৷

হোলকর স্টেডিয়ামে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে লড়াই চালালেও শেষরক্ষা হয়নি ৷ প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয় অব্যাবত মোমিনুল হকদের ৷ ৩৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে ২১৩ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস ৷ একমাত্র হাফ-সেঞ্চুরি রহিমের ৷ ৬৪ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে অশ্বিনের শিকার তিনি ৷ পূজারার দুরন্ত ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রহিম ৷ ভারতের সফলতম বোলার শামি ৷ ৩১ রান দিয়ে চারটি উইকেট তুলে নেন বাংলার এই ডানহাতি পেসার ৷ তিনটি উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন এবং দু’টি উইকেট পেয়েছেন উমেশ যাদব ৷

ভারতের থেকে ৩৮৩ রানে পিছিয়ে থেকে শনিবার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় ৷ ‘কিং পেয়ার অব সিক্স’ করে দুই ওপেনারই প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা লাগান ৷ দুই ওপেনারের স্টাম্প ছিটকে দেন ভারতীয় পেসাররা ৷ ইমরুল কায়েসকে (৬) অসাধারণ ডেলিভারিতে বোল্ড করেন উমেশ যাদব। পরের ওভারেই শাদমান ইসলামকে (৬) বোল্ড করেন ইশান্ত শর্মা। মাত্র ১৬ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ ৷ এরপর ভয়ংকর হয়ে ওঠেন মহম্মদ শামি ৷ অধিনায়ক মোমিনুল হককে (৭) এলবিডব্লিউ করেন শামি। আম্পায়ার নট-আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে উইকেট তুলে নেয় ভারত। পরের উইকেটটিও তুলে নেন শামি ৷ মাত্র ৪৪ রানে চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ ৷ শামির বাউন্সারে মারতে গিয়ে মিড-উইকেটে ময়াঙ্ক আগরওয়ালকে সহজ ক্যাচ দেন মহম্মদ মিঠুন (১৮)। ৬০ রানে চার উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ সারে বাংলাদেশ ৷

লাঞ্চের পর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও পঞ্চম উইকেটে মাত্র ২৮ রান যোগ করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ ৷ তিনিও শামির শিকার ৷ ব্যক্তিগত ১৫ রানে শামির বলে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মাহমুদুল্লাহ ৷ ৭২ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে থাকে বেঙ্গল টাইগাররা ৷ তবে এখান থেকে লিটল দাসকে সঙ্গে নিয়ে মরিয়া লড়াই করেন রহিম৷ ষষ্ঠ উইকেট দু’জনে ৬৮ রান যোগ করার পর ব্যক্তিগত ৩৫ রানে লিটলকে ‘কট অ্যান্ড বোল্ড’ করে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৷

প্রথম ইনিংস বাংলাদেশ দেড়শো রানে গুটিয়ে গেলে ময়াঙ্ক আগরওয়ালের দুরন্ত ডাবল সেঞ্চুরি এবং অজিঙ্ক রাহানে, চেতেশ্বর পূজারা ও রবীন্দ্র জাদেজার হাফ-সেঞ্চুরিতে পাঁচশোর দৌড়গোরায় পৌঁছে যায় ভারত৷ যদিও বিরাট কোহালি, রোহিত শর্মা রান পাননি। ময়াঙ্ক ২৪৩, রাহানে ৮৬, জাদেজা ৬০ এবং পূজারা৫৪ রান করেন। শুক্রবার সারা দিনে ৪০৭ রান তোলে ভারত।

এদিন সকালে অবশ্য ব্যাট করতে নামেনি ভারত ৷ শুক্রবারের ছ’ উইকেটে ৪৯৩ রানের স্কোরেই প্রথম ইনিংসে ডিক্লেয়ার্ড দেয় টিম ইন্ডিয়া। ৩৪৩ রানের লিড নিয়ে এদিন সকালে বাইশ গজের কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে নতুন বলে আক্রমণ শুরু করেন ভারতীয় পেসাররা ইশান্ত ও উমেশ দু’জনেই শুরুতে গতি, সুইং, বাউন্সে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেললেন। তারপর শামির সুইং ও গতিতে বাংলাদেশের মিডল-অর্ডারে ধস নামে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*