চিন-ভারত সীমান্তে সংঘাতের পরিস্থিতি এখনও জারি। দুই পক্ষই কড়া প্রহরা দিচ্ছে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের কাছে।
শুক্রবারও সেখানে উড়তে দেখা গেল এয়ার ফোর্সের হেলিকপ্টার। সংবাদসংস্থায় প্রকাশিত ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, লাদাখের আকাশে চক্কর কাটছে চিনুক।
এয়ার ফোর্স রীতিমত সজাগ রয়েছে চিন সীমান্তে। আগেই সীমান্তে ঘুরে এসেঢ়েন এয়ার ফোর্স চিফ। ইতিমধ্যেই একাধিক ফাইটার জেট নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই অঞ্চলে।
শেষ পাওয়া খবরে জানা যায় পিছু হটতে রাজি হয়েছে চিনের সেনাবাহিনী। দুই পক্ষই লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর ক্ষেত্রে রাজি হয়। দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক কথাবার্তা হয় এদিন। দুই দেশের আর্মি অফিসার স্তরের বৈঠকও হয়। লাদাখের বিভিন্ন জায়গার পরিস্থিতি নিয়েও এদিন আলোচনা হয়। ইস্টার্ন লাদাখের পরিস্থিতিতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে আগামিদিনেও আলোচনা হবে বলে জানা যায়। দুই দেশের লেফট্যানেন্ট জেনারেল স্তরের মধ্যে বৈঠক হওয়ার পর কীভাবে ক্রমশ সেনা সরানো হয়, সেদিকেই এখন নজর ছিল। ১৫ই জুনের পর চিন জানিয়ে ছিল আর কোন সংঘর্ষ তারা ভারতের সঙ্গে চায় না। এই বৈঠকে চিনের কাছে কয়েকটি দাবি রাখে ভারত। নয়াদিল্লি চেয়েছিল ৪ঠা মের আগে গালওয়ান ভ্যালিতে দুই দেশের সেনার যে অবস্থান ছিল, তা ফের ফিরে আসুক। ভারতের এই বক্তব্য একেবারেই সহমত ছিল না বেজিং।
কোনওভাবেই নিজেদের পুরোনো অবস্থানে ফেরত যেতে রাজি হয়নি চিন সেনা। অন্যদিকে ভারতও নিজেদের দাবিতে অনড়। ভারতের আরেকটি দাবি ছিল সীমান্ত জুড়ে যে নির্মাণ কাজ চালু করেছে চিন সেনা, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এই দাবিটিও নিজেদের জাতীয় সুরক্ষার দোহাই দিয়ে মানতে চায়নি বেজিং।
Be the first to comment