ওড়ার খানিকক্ষণের মধ্যেই সমুদ্রে ভেঙে পড়ল ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের যাত্রিবাহী বিমান। যাত্রীদের খোঁজে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিমানে মোট যাত্রী ছিলেন ১৮৯ জন।
সোমবার সকালে ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে উড়েছিল লায়ন এয়ারের একটি যাত্রীবাহী বিমান। কিন্তু টেক-অফ করার মিনিট তেরো পর থেকেই আর হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না ওই বিমানের। বিমানের খোঁজে শুরু হয় সার্চ অপারেশন। আচমকাই এ ভাবে একটি যাত্রীবাহী বিমান উধাও হয়ে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায় জাকার্তায়। এয়ারন্যাভ ইন্দোনেশিয়ার মুখপাত্র ইয়োহ্যানেস হ্যারি ডগলাস জানান, কোনও ভাবেই যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না ইন্দোনেশিয়ান লায়ন এয়ারের ওই যাত্রীবাহী বিমানটির সঙ্গে। জানা গিয়েছে, জাকার্তা থেকে বিমানটি সুমাত্রার দিকে রওনা হয়েছিল। জাকার্তা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার সকাল ছ’টা তেত্রিশ মিনিটের পর আর যোগাযোগ করা যায়নি ওই বিমানের পাইলটদের সঙ্গে।ভেঙে পড়ার আগে বিমানটি সমুদ্র থেকে ৩,৬৫০ ফুট উঁঁচুতে ছিল বলে জানা যাচ্ছে। গুগল ম্যাপের তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি উত্তর ইন্দোনেশিয়া উপকূলের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ছিল।
বিমানের খোঁজ সার্চ অপারেশ শুরু কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যায় ক্র্যাশ করেছে ওই বিমানটি। ইন্দোনেশিয়ার সার্চ এবং রেসকিউ এজেন্সির মুখপাত্র ইউসুফ লতিফ জানিয়েছেন, লায়ন এয়ারের বিমানটি ভেঙে পড়েছে সমুদ্রের উপর। এয়ার ট্রায়াকিং এজেন্সি ফ্লাইটর্যাডার জানিয়েছে লায়ন এয়ারের ওই যাত্রীবাহী বিমানটি ছিল বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ মডেল।
এদিকে সমুদ্রে ভেসে ওঠে ভেঙে পড়া লায়ন এয়ার বিমানের ধ্বংসস্তুপ। উত্তর ইন্দোনেশিয়া উপকূলে বিমানের বিভিন্ন অংশ ভাসতে দেখা যায়।ইন্দোনেশিয়ার সার্চ ও রেসকিউ এজেন্সি সমুদ্রে ভেসে থাকা বিমানের অংশ সংগ্রহ করেছে। উদ্ধার হয়েছে বিমানের টুকরো অংশ, ব্যাগ, স্মার্ট ফোন, বইসহ বেশ কিছু ছবি।
শেষ রিপোর্ট অনুসারে, বিমানটি উত্তর ইন্দোনেশিয়ার উপকূলের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ছিল। ভেঙে পড়ার আগে সমুদ্র থেকে ৩,৬৫০ফুট উচ্চতায় ছিল লায়ন এয়ার বিমানটি। বিমানে মোট যাত্রী সংখ্যা ১৮৯ জন। এর মধ্যে ৬ ক্রু মেম্বার , যাত্রীদের মধ্যে ২ টি শিশুও রেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যাত্রীদের কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।
ইন্দোনেশিয়া বিমানবন্দরের তরফে হেল্প লাইন দেওয়া হয়েছে। হেল্পলাইন নম্বরগুলি হল-021-80820000 , 021-80820002।
Be the first to comment