বড় মাপের ভূমিকম্পের ফলে আফটার শকের একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। আর এই সম্ভাবনা ছিল ইন্দোনেশিয়াতেও। বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন আবারও ভূমিকম্প হতে পারে ইন্দোনেশিয়ায়। আর ঠিক সেটাই হলো। ভূকম্প এবং সুনামি বিধ্বস্ত ইন্দোনেশিয়ায় ফের থাবা বসালো ভূমিকম্প। পরপর দু’বার। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৫.৯ এবং ৬.০।
মঙ্গলবার সকালে ইন্দোনেশিয়ার সুম্বা দ্বীপে এই কম্পন অনুভূত হয়। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিকাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, প্রথমে সুম্বা দ্বীপের ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে অনুভূত হয় কম্পন। মাত্রা ছিল ৫.৯। এর মিনিট ১৫ পরেই ফের কেঁপে ওঠে সুম্বা। ওই একই এলাকায় দ্বিতীয় কম্পনে মাত্রা ছিল ৬.০। ভূগর্ভের ৩০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে প্রথম এই কম্পন অনুভূট হয় বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস। সুম্বা দ্বীপের বাসিন্দার সংখ্যা আনুমানিক সাড়ে সাত লক্ষ। এই দুই কম্পনে ফলে আপাতত কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। জারি হয়নি কোনও সতর্কতাও।
কিন্তু নতুন করে এই দুই কম্পনে ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে দ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্যে। গত শুক্রবার ২৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে আছড়ে পড়েছিল ভয়াবহ ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৫। জারি হয়েছিল সুনামি সতর্কতাও। প্রসঙ্গত সুম্বা দ্বীপ সুলাওয়েসির দক্ষিণে অবস্থিত। কম্পনের রেশ কাটতে না কাটতেই সুনামি আছড়ে পড়ে সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু শহরে। ডোনগালার তালিসা বিচে ধেয়ে আসা সেই সুনামি মুহূর্তে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সবকিছু৷ ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালাতে দেখা যায় বহু মানুষকে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল যেখানে, তার থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে পালু শহরে আছড়ে পড়েছে সুনামি। পালু শহরে বসবাস করেন সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ। প্রথমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা না গেলেও যত সময় গড়ায় ছবিটা স্পষ্ট হতে থাকে। পরিসঙ্খ্যান বলছে ৮০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই ভূমিকম্প এবং সুনামির ফলে।
Be the first to comment