ফের ইন্দোনেশিয়ায় আছড়ে পড়লো সুনামি। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬২ জনের। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০০ জন। বেশ কয়েক বছর আগে ভয়াবহ সুনামির দাপটে কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ইন্দোনেশিয়া। ২০১৮-র ডিসেম্বর মাসে ফিরে এল সেই আতঙ্কের স্মৃতি। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পালে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল ডিজাস্টার এজেন্সির মুখপাত্র জানিয়েছেন, মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দা প্রণালী। সেখানে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪০ জনের। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫৮৪ জন। আর নিখোঁজ রয়েছে দু’জন। ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সময় অনুযায়ী শনিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ আছড়ে পড়ে সুনামি। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ সুমাত্রা এবং ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাভার পশ্চিম প্রান্তের অংশ। ভেঙে গিয়েছে রাস্তাঘাট। ধূলিসাৎ হয়েছে অসংখ্য বহুতল।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সুন্দা এবং সুমাত্রার মাঝে থাকা একটি ছোট্ট দ্বীপের আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের কারণেই আচমকা সুনামি আছড়ে পড়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। তবে শুধু আনাক ক্রাকাতোয়ার অগ্ন্যুৎপাত নয়, জলের তলাতেও তৈরি হয়েছিল আলোড়ন। আর সেই কম্পনের ফলেই সৃষ্টি হয়েছে সুনামি। সুন্দা উপকূলে আছড়ে পড়েছে বড় বড় ঢেউ। তবে ঠিক কারণে এই সুনামি হয়েছে তার খোঁজে গবেষণা শুরু করেছেন ইন্দোনেশিয়ার জিওলজিক্যাল সার্ভের গবেষকরা।
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের অন্যতম ‘ডিজাস্টার প্রোন’ অর্থাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ দেশ। প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অফ ফায়ার’-এ থাকা এই দেশে রয়েছে অসংখ্য আগ্নেয়গিরি। মাঝে মাঝে জেগে ওঠে তারা। আর নানান বিপর্যয় আছড়ে পড়ে ইন্দোনেশিয়ার বুকে। সম্প্রতি ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল এখানকার পালু শহর এবং সুলাওয়েসি দ্বীপে। মৃত্যু হয়েছিল কয়েক হাজার মানুষের। এরপর ফের সুনামির আতঙ্কের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলো আনাক ক্রাকাতোয়া। পরিসংখ্যান বলছে, ১৮৮৩ সালে শেষ এতো ভয়ঙ্কর অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল ক্রাকাতোয়া থেকে। চলতি বছরের শেষে ফের জেগে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আনাক ক্রাকাতোয়া। যার ফল এই শক্তিশালী সুনামি।
Be the first to comment