নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে গোটা দেশজুড়ে বিক্ষোভ। একের পর এক রাজ্যে ছড়াচ্ছে বিক্ষোভের আগুন। অবস্থা এতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে যে একের পর এক রাজ্যে কার্যত কার্ফু জারি করতে হচ্ছে। দেশের এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ‘কাশ্মীরে’র সঙ্গে তুলনা করছেন। বিক্ষোভের আগুন অন্য রাজ্যে ভয়ঙ্কর হলেও, অপেক্ষাকৃত বাংলায় অনেকটাই ঠান্ডা পরিস্থিতি। নতুন করে যে কোনও মুহূর্তে ছড়াতে পারে উত্তেজনা।
আর এই আশঙ্কায় বাংলায় এখনও পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়নি। এর মধ্যে নদিয়াতে নতুন করে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। শুধু নদিয়াতে নয়, জানা যাচ্ছে অঘোষিত ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট। প্রতিবাদের নামে কলকাতায় যে কোনও ধরণের তাণ্ডব রুখতে অলিখিতভাবে এই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাংলা এক টেলিভিশনে প্রকাশিত খবর জানাচ্ছে, গত কয়েকদিন ধরে কার্যত গোটা রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব চলেছে। বিশেষ করে গত শুক্রবার জুম্মার বিশেষ প্রার্থনার পরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। গোটা রাজ্যের পাশাপাশি কলকাতাতেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে। অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে খোদ রাজ্য প্রশাসনকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। কিন্তু গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ঠান্ডা। কিন্তু যে কোনও মুহূর্তে অশান্তির ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে, আর সেজন্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট।
প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে বন্ধ ৬ জেলায় ইন্টারনেট। কলকাতায় আন্দোলন হলেও সেখানে এতদিন ইন্টারনেট পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়েনি। কিন্তু শুক্রবার আর ঝুঁকি নিল না প্রশাসন। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নবান্নের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে আজ শুক্রবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা সহ শহরতলীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ইন্টারনেট বন্ধের খবর আসছে। প্রকাশিত খবর মোতাবেক, পার্ক সার্কাস, বিশ্ব বাংলা সরণির পাশের বিস্তীর্ণ এলাকা, কামালগাজি, বিজয়গড়, খিদিরপুর, মোমিনপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। ইন্টারনেট বন্ধের খবর মিলেছে গড়িয়া থেকেও।
এতদিন জেলাতে ইন্টারনেট বন্ধের খবর আসলেও, কলকাতাতে এই বিষয়ে কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু আজ শুক্রবার প্রশাসনের তরফে কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয়নি বলে শোনা যাচ্ছে।
Be the first to comment