পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখোমুখি অংশুমান চক্রবর্তী।
অংশুমান : এতদিন আমরা দেখেছি গল্পই আপনার ছবির নায়ক। হঠাৎ সুপারস্টার কেন?
কৌশিক : এখনও নায়ক গল্প। সুপারস্টার নয়। তবে সুপারস্টারের প্রয়োজন আছে। এই বলয়টার প্রয়োজন আছে। তবে সবার ক্ষেত্রে নয়। প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ব্যাপারটা আলাদা। মাঝে চোদ্দ বছর এরা একসঙ্গে কাজ করেননি। তখন কোনও বিকল্প তৈরি হয়েনি। এই জুটিটার প্রয়োজন ছিল। এই জুটি ছাড়া ছবিটা সম্ভব হতো না, সেটা ‘দৃষ্টিকোণ’ দেখলেই বোঝা যাবে। আমার এখনও স্টার সুপারস্টারের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় অভিনেতার। দুজনেই আন্তর্জাতিক মানের অভিনয় করেছেন। আশাকরি দর্শকদের ছবিটা ভালো লাগবে।
অংশুমান : আশিটা প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হচ্ছে ছবিটা?
কৌশিক : হ্যাঁ। মানুষের রুচির বদল হয়েছে। তারা আর নাচ বা বরফে ছুটে ছুটে গান আর দেখেন না। মূল স্রোতের ছবির সংজ্ঞা বদলে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে এই ধরনের ছবি মূল স্রোতের ছবির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। সিঙ্গল স্ক্রিন কর্তৃপক্ষ ভরসা রাখছেন। এর থেকে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না।
অংশুমান : প্রসেনজিৎ-এর চোখটা সম্পর্কে জানতে চাই।
কৌশিক : ওটা নিয়ে বিস্তারিত এখন কিছু বলব না। ছবিটা দেখলে বুঝতে পারবেন। তবে এটুকু বলতে পারি, ছবির প্রয়োজনেই চোখটা ওই রকম রাখতে হয়েছে। নষ্ট হয়ে যাওয়া চোখ। ভালোবাসার সময় ওই চোখটা আমরা দেখি না। খারাপ দিকটা দেখি না। ভালো চোখের দিকে তাকিয়েই কথা বলি। মানুষটা একটা চোখের দৃষ্টিকোণ দিয়েই এই গল্পটা দেখে। ছবিটা সপরিবারে দেখার মতো। আশাকরি দর্শকদের ভালো লাগবে।
Be the first to comment