গান্ধী পরিবারের ৩ ট্রাস্টে আর্থিক অনিয়ম, তদন্ত কমিটি গঠন কেন্দ্রের

Spread the love

গান্ধী পরিবারেরর তিনটি ট্রাস্টের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এ কথা জানানো হল। তদন্তের জন্য মন্ত্রিপরিষদের কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র বুধবার সকালে ট্যুইটে জানিয়েছে, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন, রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বিরুদ্ধে আয়কর নিয়ম ভাঙা ও বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ইন্টার-মিনিসটেরিয়াল কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের স্পেশ্য়াল ডিরেক্টর।

গত মাসে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, সরকারে থাকাকালীন মনমোহন সিং সরকার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বেআইনিভাবে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে অর্থদান করেছিল।

বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা জানিয়েছেন, ‘মানুষকে সাহায্য করার জন্য PMNRF। কিন্তু UPA আমলে সেখান থেকে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে টাকা দান করত। PMNRF বোর্ডে কে ছিলেন? শ্রীমতি সনিয়া গান্ধী RGF-এর চেয়ারে কে ছিলেন? শ্রীমতি সনিয়া গান্ধী। এটা সম্পূর্ণরূপে নিন্দনীয়, নীতিবিরোধী এবং অস্বচ্ছ।’ রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের প্রধান কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। এবং বোর্ডে রয়েছেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা, পি চিদম্বরম ও মনমোহন সিং।

বিজেপির আরও অভিযোগ, ১৯৯১ সালের বাজেট বক্তৃতায় তত্‍‌কালীন অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিং রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। একটি বিবৃতিতে বিজেপি জানায়, ‘১৯৯১ সালের বাজেট বক্তৃতা। ১৬ নং পাতার ৫৭তম অনুচ্ছেদ। মনমোহন সিং রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। বছরে কুড়ি কোটি করে পাঁচ বছর।’ যদিও এই অভিযোগ আগেই খারিজ করে দিয়েছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, চিনের সঙ্গে চলা সংকটে সরকারের ব্যর্থতা থেকে সবার নজর ঘোরানোর জন্যই এই অভিযোগ করছে বিজেপি। সে জন্যই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

এ দিকে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে চিন টাকা ঢেলেছে বলেও এর আগে তোপ দেগেছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, ২০০৫-২০০৬ সালে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে ডোনেশন দিয়েছে ভারতের চিনা দূতাবাস। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ অভিযোগ করেছিলেন, ‘ইউপিএ আমলে চিনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল? যে ডোনেশন দেওয়া হয়েছিল, সেটা কি চিনের আনুগত্য নয়? তারপরই কি চিনের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করা হয়নি?’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘কংগ্রেসকে এর উত্তর দিতে হবে, যদি এই টাকা চিনা অ্যাম্বাসি দিয়ে থাকে, তাহলে তা কোন খাতে খরচ হল!’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*