অসুস্থতার কারণে সিবিআই দফতরে যাননি তৃণমূল নেতা ইকবাল আহমেদ। তিনি সময় চেয়েছিলেন তিন সপ্তাহ। অথচ দ্রুত তদন্তের জাল গুটিয়ে আনতে চাইছে সিবিআই। এই মামলার চার্জশিট পেশের জন্য ইকবালের ভয়েস স্যাম্পেল অত্যন্ত জরুরি। সেই কারনেই সিবিআই-এর ছ’জনের একটি দল ইকবালের রিপন স্ট্রিটের বাড়িতে যায়। তবে এদিন তাঁর ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়া হয়নি। সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল এদিন সাংবাদিকদের জানান, ইকবাল আহমেদের শরীর খারাপ। তাই এদিন তাঁর ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়া যায়নি। এদিন ইকবাল আহমেদের অফিসেও হানা দেয় প্রতিনিধি দলটি।
তবে তদন্তকারীদের দাবি, নারদ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত কলকাতা পৌরনিগমের তৎকালীন ডেপুটি মেয়র ইকবাল। নারদ স্টিং অপারেশনের ফুটেজে ( সত্যতা যাচাই করেনি রোজদিন.ইন) দেখা গিয়েছিল বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার কাছে ম্যাথু স্যামুয়েলকে নিয়ে গিয়েছিলেন ইকবাল। আর সেই সূত্রে তাঁর বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মামলায়। ২০১৪ সালে মার্কুইজ স্ট্রিটে ইকবালের হোটেলেই উঠেছিলেন ম্যাথু । তখন তাঁর ছদ্মনাম ছিল সন্তোষ । তদন্তে সিবিআই জেনেছে, এই হোটেলেই একাধিকবার ম্যাথুর সঙ্গে ইকবালের বৈঠক হয়। এই হোটেলে বসেই ম্যাথুর হাত থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন ইকবাল। যেটি ফুটেজে দেখা গেছে।
তদন্তকারীরা জেনেছেন, বিভিন্নভাবে ম্যাথুর কাছ থেকে আরও ৭ লাখ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। প্রাথমিকভাবে অসুস্থতা ও অন্যান্য অনেক কারণ দেখিয়ে সিবিআই-এর নোটিশে হাজির হননি। পরে সিবিআই এবং ইডি-এর জেরার মুখোমুখি হন তিনি। সেই সূত্রে ইডি দাবি করেছে টাকা নিয়েছিলেন ইকবাল। তবে ওই টাকা তিনি একটি ফুটবল ক্লাবকে দান করেছেন। সে বিষয়ে নথিপত্র জমা দিয়েছেন ইকবাল।
সিবিআই সূত্রে খবর, ওই ফুটবল ক্লাবের হিসাবপত্র পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে । এদিকে মামলার তদন্তের স্বার্থে ফুটেজ সম্পাদনার দায়িত্বে থাকা মিতেস দিক্ষিতকে নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই। ৯ সেপ্টেম্বর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে।
Be the first to comment