জ্বলছে ইরানের কনসুলেট। ধোঁয়ায় ঢেকেছে আকাশ। বিক্ষুব্ধ জনতার উল্লাস। তার মাঝেই গুলি চালিয়েছে সেনা। সংবাদ সংস্থার সূত্রে খবর, সেই গুলিতে মারা গিয়েছে ৪৫ জন। বুধবার রাতে ইরাকের সরকার বিরোধী আন্দোলন ভয়াবহ আকার নেয়। আর এই আন্দোলন বাড়তে বাড়তে কার্যত ইরাকের নজাফ শহরকে নিজেদের গড় বানিয়ে ফেলে ইরাকি সরকার-বিরোধী দলগুলি। এরপরই ইরাকি বাহিনীর গুলির মুখে পড়তে হয় বিক্ষুব্ধকারীদের। এই গুলিতেই মারা গিয়েছেন ৪৫ জন বিক্ষুব্ধকারী। ইরাকি বাহিনীর গুলিতে আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে নজাফের ইরানি কনসুলেটে হামলা চালান ইরাকের সরকার-বিরোধী আন্দোলনকারীরা। তাঁরা কনসুলেটের মূল ফটক ভেঙে ভিতরে ঢুকে আগুন লাগিয়ে দেন। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইরাকি বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের নিরস্ত করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩৫ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীরও ৩২ জন জখম হন। ঘটনার সময়ে কনসুলেটের ভিতরে ইরানের কোনও রাষ্ট্রদূত বা কর্মী ছিলেন না। ইরানের কোনও নাগরিকের জখম হওয়ার খবরও নেই তাই।
এই ঘটনার পর থেকে কার্ফু জারি রয়েছে নজাফে। কিন্তু বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ ইরাকের আর এক শহর নাসিরিয়ায়। ২৭ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি অন্তত দেড়শো জন আহত হয়েছেন সেখানে। জ্বলছে বাগদাদও। আজ বাগদাদের রাস্তাতেও নামেন অসংখ্য তরুণ। মুখে মাস্ক, মাথায় হেলমেট। সেখানেও দুই বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। গত দু’মাসে ইরাকের সরকার-বিরোধী আন্দোলনে মোট ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এরই মধ্যে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীও। মঙ্গলবার বাগদাদে বিক্ষিপ্ত ভাবে তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। ছ’জন নিহত হয়েছিলেন। আজ ওই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে আইএস।
Be the first to comment