ভারতীয় সিনেমায় ইরানি পরিচালক মাজিদির অভিষেক

Spread the love

তপন মল্লিক চৌধুরী

‘বিয়ন্ড দ্য ক্লাউডস’ সিনেমার মধ্যে দিয়েই ভারতীয় সিনেমা জগতে অভিষেক হল ইরানি চলচ্চিত্রের বিখ্যাত পরিচালক মাজিদ মাজিদির। প্রচারের অংশ হিসেবে ১৬ এপ্রিল জিও মামি মুম্বাই ফিল্ম ফেস্টিভালে সিনেমাটি বিশেষভাবে প্রদর্শিত হয়। ২০ এপ্রিল, শুক্রবার ভারতের বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন সিনেমা হলে সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়। এই ছবিতে প্রধান ভূমিকায় রয়েছে  শহিদ কাপুরের ছোট ভাই ইসহান খাত্তার ও মালভিকা মোহনান। আর সংগীত পরিচালনা করেছেন এ আর রহমান। ছবির গল্পে রয়েছে সমবেদনা, সহানুভূতি ও মানবতা। ফেসবুক পেজে পরিচালক মাজিদ মাজিদি বলেন, ‘সিনেমার মাধ্যমে মত প্রকাশ করা যায়। এখানে ভাষার কোনো বাধা নেই। এই চলচ্চিত্রে সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত বৈচিত্র্য আনা হয়েছে।’ ‘বিয়ন্ড অন দ্য ক্লাউডস’ ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত ও দীপিকা পাড়ুকোনের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ওই ছবিটিতে অভিনয় করা হয়নি তাদের। কিন্তু কেন তাদের  অভিনয় করা হয়নি, সে প্রশ্নের উত্তর মিলল এবার।

মাজিদ মাজিদির ইচ্ছে ছিল কঙ্গনাকে তার ‘বিয়ন্ড অন দ্য ক্লাউডস’ ছবিতে অভিনয় করাবেন। কিন্তু তিনি ওই ছবিতে নায়কের বোনের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য কঙ্গনাকে অনুরোধ করেন। কঙ্গনা আশা করেছিল, মাজিদ মাজিদি তার ছবিতে কঙ্গনাকে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করার জন্য বলবেন। কিন্তু না, ছবির পরিচালক এই বলিউড অভিনেত্রীকে জানান ‘বিয়ন্ড অন দ্য ক্লাউডস’-এ নায়কের বোনের চরিত্রে কঙ্গনাকে বেশ মানাবে। এদিকে কঙ্গনাও সাফ জানিয়ে দেন, তিনি নায়কের বোনের চরিত্রে অভিনয় করবেন না। ঠিক এই কারণেই ওই ছবিটিতে আর অভিনয় করা হয়ে ওঠেনি কঙ্গনার। শুধু কঙ্গনাই যে এই ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ হারিয়েছেন, ব্যাপারটি তা নয়। বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনও বাদ পড়েছিলেন।

দীপিকা প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারের মাজিদ মাজিদি বলেন, ‘আমি আমার ছবিতে দীপিকাকে নিতে চেয়েছিলাম। এমনকি তার অডিশন নেওয়ার জন্য আমি ভারতেও এসেছি। কিন্তু দীপিকার এত বেশি জনপ্রিয়তা যে, আমরা তার অডিশন নিতে গিয়ে তার ভক্তদের ভিড় আর সামলাতে পারিনি। তাই ভক্তদের ভিড় ঠেকাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত দীপিকার অডিশন নিতে ব্যর্থ হয়েছি আমরা। তাই বাধ্য হয়েই বাদ দিতে হয়েছে দীপিকাকে।’ মোটের ওপর ‘বিয়ন্ড অন দ্য ক্লাউডস’ –এর নেপথ্যের গল্প হল এই। এখন দেখার ইরানি চলচ্চিত্রের বিখ্যাত পরিচালক মাজিদ মাজিদি কতটা সফল হন ভারতে। তাছাড়া আন্তজাতিক সিনেমা দুনিয়ায় ইরানী ছবির বিশেষ একটি জায়গা রয়েছে, সেই সুনাম মাজিদ মাজিদি ভারতীয় প্রেক্ষিতে কতটা রক্ষা করতে পারেন সেটাও দেখার ব্যাপার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*