বিশেষ প্রতিনিধি,
নি:শব্দ বিপ্লবের সাক্ষী হয়ে রইল আয়ারল্যান্ড৷ গণভোটের পর বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, দেশের ৬৯ শতাংশ মানুষই সংবিধান শুধরে গর্ভপাতকে আইনসিদ্ধ করার পক্ষে সায় দিয়েছেন। গর্ভপাত আইনকে আমূল পরিবর্তনের পক্ষে বিপুল ভোট পড়েছে। দেশের ৩৫ লক্ষ মানুষ মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করে মতামত জানান। ভোটের পর ‘আইরিশ টাইমস’–এর সমীক্ষা বলছে, ৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে সংশোধনের পক্ষে। ৩২ শতাংশ বিপক্ষে। ‘আরটিই’ চ্যানেলের মতে আবার ৬৯.৪ শতাংশ ভোটই পড়েছে গর্ভপাতের পক্ষে। ৩০.৬ শতাংশ বিপক্ষে। পক্ষে ভোটদাতাদের ৭০ শতাংশ মহিলা, ৬৫ শতাংশ পুরুষ। বিপক্ষে ভোটদাতাদের ৩০ শতাংশ মহিলা, ৩৫ শতাংশ পুরুষ।
মানুষের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী লিও বরদকর। নিজে সংবিধান সংশোধনের পক্ষেই প্রচার চালিয়েছিলেন। এই গণভোটকে ‘নীরব বিদ্রোহ’ আখ্যা দিয়েছেন বরদকর।
আয়ারল্যান্ডে গর্ভপাত আইনত নিষিদ্ধ ছিল। ১৯৮৩ সালে গণভোটের মাধ্যমে গর্ভপাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অষ্টম সাংবিধানিক সংশোধনী পাস হয় সেদেশে। অষ্টম সাংবিধান সংশোধনী অনুযায়ী, গর্ভস্থ শিশু এবং মায়ের জীবনের সমানাধিকার রয়েছে। সে দেশে গর্ভপাত করালে ১৪ বছর জেল এবং জরিমানার বিধান রয়েছে।
২০১২ সালে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক সবিতা হলপ্পনাবার অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন শারীরিক জটিলতা শুরু হয়। গর্ভপাত করানো জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু হাসপাতাল সে পথে হাঁটেনি। ১৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা সবিতার গর্ভপাত না-করানোয় মৃত্যু হয় তার। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ১২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গর্ভপাত করানোর অনুমতি দিক সরকার। এমনকি শরীর সুস্থ থাকলে ২৪ সপ্তাহ পর্যন্তও গর্ভপাত করানোর অনুমতি দাবি করেন তরা। এরপর চাপে পড়েই গণভোটের আয়োজন করে সরকার।
Be the first to comment