একুশের ভোটযুদ্ধে দল ভাঙানোর খেলা অব্যাহত। এ বার আইএসএফ (ISF) থেকে একঝাঁক প্রথম সারির নেতা দল ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট হাজি মহম্মদকে তৃণমূলে শামিল করান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এ ছাড়াও বন্দর এলাকার প্রভাবশালী কংগ্রেসের নেতা ডক্টর শাকিল আহমেদ এবং কয়েকশো আইএসএফ কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে।
ফিরহাদের দাবি, আইএসএফ নিজেকে সিপিএম-র কাছে আত্মসমপর্ণ করেছে। যে সিপিএমের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়েছিলেন সেই দলে এখন আব্বাস সিদ্দিক কমরেড হয়ে গিয়েছেন। তারই প্রতিবাদে এই ব্যক্তিত্বদের তৃণমূলে যোগদান।
ববি হাকিমের ব্যাখ্যা, একমাত্র মমতাই বিজেপিকে আটকাতে পারেন। এখনও নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় রয়েছেন তার অপদার্থতার দায় কংগ্রেসের। যদি গুজরাট মামলার সঠিকভাবে তদন্ত হত তবে অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারতেন না।
এই সাংবাদিক বৈঠকে নিমতাকাণ্ড নিয়েও পালটা আক্রমণে শান দেন ফিরহাদ। মাসখানেক নিমতায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে যে বৃদ্ধা আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে বিজেপি অভিযোগ তুলেছিল, তাঁর আজ মৃত্যু হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে ফিরহাদ এ দিন বলেছেন, যিনি মারা গেছেন তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাই। বিজেপি মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে। মিথ্যা প্রচার করে রাজ্যের মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি আশা করি ন্যায় বিচার হবে।
Be the first to comment