রবিবার সকালে দাড়িভিট গ্রামে গিয়ে নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক এবং মন্ত্রী। শোক জানাতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়ে কিছুটা বেকায়দায় পড়ে যান তাঁরা। তবে প্রিয়জনকে হারিয়ে এমন প্রতিক্রিয়াটাই স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন দুজনেই।
শুক্রবার দাড়িভিট স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অশান্তির সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মন নামে দুই কলেজ ছাত্র। যাঁরা এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রও বটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সে দিন লাঠি ও কাঁদানে গ্যাসের পাশাপাশি পুলিশ গুলি চালায় বলেও অভিযোগ। এবং সেই গুলিতেই মৃত্যু হয় দুই ছাত্রের। যদিও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাগোড়া গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করা হয়েছে। এরপরেই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে দুই পরিবার মৃতদেহ দাহ না করে মাটি চাপা দিয়ে রেখে দেয়। আদালতের নির্দেশে যদি সিবিআই তদন্ত হয়, এবং তখন আবার ময়নাতদন্ত করার প্রয়োজন হয়, সেই আশায়।
রবিবার সকালে মৃত ওই ছাত্রের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে তাঁদের বাড়িতে যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল ও পঞ্চায়েত দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি। মন্ত্রী ও বিধায়ককে দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শোকার্ত স্বজনরা। তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করেন দুজন। পরে তাঁরা বলেন, রাজ্যে প্রশাসন চালাচ্ছে তৃণমূল। এমন একটা পরিস্থিতির পর শোকার্ত আত্মীয়দের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক কর্তব্য। দলেরও একটা দায় রয়েছে। তাই মৃত দুই ছাত্রের বাড়িতে এসেছিলাম। পরিজনদের এখন যা মানসিক অবস্থা, তাতে এমন ক্ষোভ প্রকাশ খুবই স্বাভাবিক।’’
বেলা গড়াতেই এ দিন দাড়িভিটে আসেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। দুই ছাত্রের পরিবার আদালতে গেলে তাদের সবরকম সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
Be the first to comment