
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা সম্ভব হবে না, জানিয়ে দিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান। তবে আমরা প্রস্তুত ‘দু’এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করব।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম রায়ে চাকরি হারিয়েছেন রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। সঙ্গে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ। শুক্রবার সুপ্রিম নির্দেশ প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করলেন এসএসসি য়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। বৈঠক থেকে তিনি স্পষ্ট জানালেন, ‘দ্রুত নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই আমরা চিঠি পেয়েছি, তবে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ করা সম্ভব নয়।’
এসএসসি চেয়ারম্যান তাঁর এই মন্তব্যের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ২৬ লক্ষ প্রার্থী। পরীক্ষায় বসেন প্রায় ২২ লক্ষ। এঁদের মধ্যে নবম-দশমের এক লক্ষ ৪১ হাজার এবং একাদশ-দ্বাদশের দেড় লক্ষ প্রার্থী রয়েছেন। তাই এত বড় নিয়োগ প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে সম্ভব নয়।’
এরই পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ শেষ করতে হবে একথা সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়নি। এটা একটা বড় প্রক্রিয়া। তাই তিন মাসের মধ্যে এসব করা সম্ভব নয়।’
এতজন শিক্ষকের চাকরি গেল,এর দায় কার? সাংবাদিকদের এই প্রশ্ন শুনে কার্যত রেগে গিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আদালত রায় দিয়ে দিয়েছে। একই প্রশ্ন বারবার করে আমার বক্তব্য জানতে চাওয়া ঠিক নয়। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। দায় কার জানতে হলে, সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারের ২৮ নম্বর প্যারাগ্রাফটা পড়ে দেখুন। ওখানেই সব লেখা আছে।’
সিদ্ধার্থবাবু এও বলেন, “শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরও রাজ্য থেকেও দ্রুত নিয়োগের কথা বলেছে। কীভাবে সবটা কতটা দ্রুত করা যায়, তা নিয়ে আমরা আলোচনাও করছি। আইনি পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে। তবে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিষয়টি সময়সাপেক্ষ।”
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, চাকরিহারাদের মধ্যে যাঁরা এর আগে অন্য কোনও সরকারি দফতরে চাকরি করতেন, তাঁদের তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পূর্বের পদে ফিরিয়ে দিতে হবে। এসএসসির চেয়ারম্যান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘অন্য চাকরি থেকে কেউ এসে থাকলে, সেই তথ্য আমাদের কাছে আছে কি না, দেখতে হবে। যিনি চাকরিরত, এটা তাঁর পক্ষে জানা সম্ভব। তিনিই পুরনো চাকরিতে ফিরে যাওয়ার আবেদন করবেন। প্রয়োজনে সুপারনিউমেরি (অতিরিক্ত) পদ তৈরি করা যেতে পারে।’’
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে ছিলেন ১২,৯০৫ জন। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদে ছিলেন ৫,৭১২ জন। এ ছাড়া, বাকিরা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-তে কর্মরত ছিলেন।
Be the first to comment