রাত বারোটা বাজলো,টয়লেট নেই পানীয় জল নেই এসএসসি ভবনে পুলিশের সঙ্গে চাকরিহারাদের তর্কাতর্কি, ভেতরে খাবার প্রবেশও বাধা দেন চাকরিহারারা

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- কেউ বলছেন ‘রাতের পর রাত জাগব। আমাদের কেউ সরাতে পারবে না।’ কেউ বলছেন, ‘আমাদের গুলি করে দিক, মেরে দিক। কিন্তু যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা না পেলে আমরা সরছি না।’ এসএসসি ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি চাকরিহারা প্রার্থীদের। রাত প্রায় সাড়ে এগরোটা পর্যন্ত (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) এসএসসি ভবনেই রয়েছেন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার-সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা।
এ দিন এসএসসি অধিকারিকদের খাওয়ার জন্য কিছু খাবারের প্যাকেট নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেটিকেও কেড়ে নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। চাকরিহারাদের মধ্যে থেকেই একজন বলেন, ‘আমাদের রাস্তায় বসিয়ে দিয়ে আজকে ওঁরা এসব খাবেন। আপনারা দেখুন সকলে।’  চাকরিহারা শিক্ষকদের অভিযোগ, এদিন অবস্থান বিক্ষোভ চালানো হলেও পুলিশের তরফে জল, টয়লেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।
সোমবার ৬টায় যোগ্য-অযোগ্যদের একটি তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল এসএসসির। তবে, সোমবার রাত পর্যন্ত কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। চাকরিহারাদের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘প্রথম থেকে তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের নাম দেবে বলা হয়েছে। বাকিদের অযোগ্যদের প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের যোগ্যদের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা আমরা মানব না।’
চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এসএসসি ভবনের দুটি গেট অবরুদ্ধ করে দিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। কেন আজ তালিকা দেওয়া হলো না? বৈঠক শেষে চাকরিহারাদের প্রতিনিধি বলেন, ‘প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যে সমস্ত কাউন্সেলিং হয়েছিল, তার তালিকা প্রকাশ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে এসএসসি।…একজনের চাকরি কাড়া হলে গোটা রাজপথ অচল করব’।
চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এসএসসি ভবনের দুটি গেট অবরুদ্ধ করে দিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। কেন আজ তালিকা দেওয়া হলো না? বৈঠক শেষে চাকরিহারাদের প্রতিনিধি বলেন, ‘প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যে সমস্ত কাউন্সেলিং হয়েছিল, তার তালিকা প্রকাশ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে এসএসসি।…একজনের চাকরি কাড়া হলে গোটা রাজপথ অচল করব’।
অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার একটি প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এভাবে যদি রাস্তায় দিনের পর দিন শিক্ষকেরা বসে থাকে তাহলে প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে, আমরা এসএসসি ভবন ঘেরাও করতে বাধ্য হব।’ পাশাপাশি তিনি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘শিক্ষা দপ্তরের এত কিছু ঘটনা ঘটলো বাংলায়, শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রীসহ সমস্ত দপ্তরটা জেলে গেল, তারপরেও শিক্ষা দপ্তর শিক্ষা নিচ্ছে না। সরকারের কাছে যদি সঠিক তথ্য না থাকে তাহলে কেন সরকার মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিল আজকে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করবে। ২১ তারিখে এত রাত্রি হয়ে গেল তারপরেও কোন তালিকা প্রকাশ করতে পারল না। হাজার হাজার চাকরিহারারা সল্টলেকের এসএসসি ভবনের সামনে বসে আছে। সরকার কি পেয়েছে বাংলার উৎকর্ষ মেধা এই ছেলেমেয়েগুলোকে নিয়ে। আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব আপনি নিজে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি দল গঠন করে অতিসত্বর বিষয়টিকে দেখুন। দিনের পর দিন শিক্ষকেরা রাস্তায় বসে আছে এটা অত্যন্ত খারাপ ঘটনা। আজও শিক্ষা মন্ত্রীর আশ্বাসের পর রাস্তায় থাকতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফ থেকে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে, আমরা এসএসসি ভবন ঘেরাও করতে বাধ্য হব।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*