স্টুডেন্ট কাউন্সিল নয়, স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মডেলেই ভোট হতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার বোর্ডের বৈঠকে ছাত্র ভোট নিয়ে আলোচনা হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, পূর্ববর্তী মডেল অর্থাৎ বিগত বছরগুলিতে যে মডেলে ছাত্র ভোট হয়ে এসেছে এবারও সেই মডেলেই ভোট হবে। শেষ ছাত্রপতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মডেলে ভোট হয়েছিল। সেই অনুযায়ী বলা যেতে পারে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট কাউন্সিল নয়, স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মডেলেই ছাত্র ভোট হতে চলেছে। তবে, এ বছর ছাত্র ভোট করা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ছাত্র ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৪ অক্টোবর হবে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ভোট। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি আরও যে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ভোট করার অনুমতি পেয়েছিল উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছ থেকে তাঁরা কবে ছাত্র ভোট করবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছিল। অনুমতি পাওয়া এই একক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার বোর্ডের একটি বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের প্রতিনিধি ও বোর্ডের সদস্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এ বিষয়ে বলেন, ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যাবেলা আমরা যে বিজ্ঞপ্তি পেয়েছি তার ভিত্তিতে ছাত্র ভোট করবো। সেখানে চারটে একক বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে ৷ তারা তাদের মত ছাত্র ভোট করাতে পারবে। সেটা কাউন্সিল ভোট হোক বা ইউনিয়ন ভোট ৷ সেই মোতাবেক আজকে আমাদের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার বোর্ডের একটি বৈঠক হয়। তাতে আমরা অফিসিয়ালি সরকারের যে বিজ্ঞপ্তি সেটাকে নোট করিয়েছি। এই বৈঠকে ছাত্র প্রতিনিধিরাও ছিল এবং স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার বোর্ডের সদস্যরা সবাই ছিলেন। ছাত্ররা এটার বিষয়ে আগেই জানতো। আমরা ছাত্রদের বলেছি তারা যেন প্রস্তাব দেয় যে কবে নাগাদ ওরা নির্বাচনটা করতে চাই। সুনির্দিষ্ট কোনও দিন ওরা প্রস্তাব করেনি।
চিরঞ্জীববাবু বলেন, আমাদের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অ্যাকাডেমিক কারিকুলাম স্ট্রাকচার রয়েছে, বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এখনও বহু ডিপার্টমেন্টেই ক্লাস টেস্ট বা যেটাকে মিডটার্ম বলে সেই সেকেন্ড ক্লাস টেস্টটা এখনও হয়নি। তারপরে আবার সেমিস্টার পরীক্ষা রয়েছে। ফলে এখন যে সময়টা থাকে সেটা খুবই ব্যস্ত। সিলেবাস শেষ করার একটা তাগিদ রয়েছে। দ্রুত ক্লাস টেস্ট শেষ করার তাগিদ রয়েছে। তারপরে আবার সেমিস্টার পরীক্ষার প্রস্তুতি ও অন্যান্য সেমিস্টার পরীক্ষা যেটা ডিসেম্বর মাসে হবে সেটা রয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওরা নভেম্বর-ডিসেম্বরে করতে পারবে কি না সেটা নিয়ে আমি নিজেও সন্দিহান। কিন্তু এটা গোটাটাই ছাত্রদের উপর নির্ভর করে। এখানেই অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কোনও বক্তব্য নেই। ছাত্ররা যখন করতে চাইবে আমরা সেই বুঝেই ব্যবস্থা করবো।
চিরঞ্জীববাবু বলেন, আমরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেটা ঠিক করেছি সেটা হল, এতবছর যে ভাবে নির্বাচনটা হত, যে পদ্ধতি মেনে হত, সেই পদ্ধতি অনুযায়ী এবারের নির্বাচনটা করা হবে। এতদিন যে সিস্টেমটা ছিল সেটাই হবে।
Be the first to comment