রোজদিন ডেস্ক:-
‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’ এর সঙ্গে এবার ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’! রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আরজি কর সংক্রান্ত প্রতিবাদ মিছিলের মধ্যে থেকে এরকম স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার কলকাতার যাদবপুরে একটি মিছিলে উঠেছিল ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান। সেই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়া মারফত চোখে পড়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। তার জেরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে গোয়েন্দাদের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। সেই নির্দেশের জেরে ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ মেলার পর রবিবারের ঘটনার তথ্যানুসন্ধান করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকেরা। মিছিলের উদ্যোক্তাদের পরিচয়, স্লোগান দেওয়া ব্যক্তিরা কোন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত না বিক্ষিপ্ত ভাবে ওই স্লোগান- এ রকম কয়েকটি বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান চালান তাঁরা। প্রাথমিক ভাবে যাবতীয় রিপোর্ট সংগ্রহ করে সোমবার রাতের মধ্যেই সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লিতে। তবে এই বিষয়ে আরও তদন্ত করে দেখে ফের কিছু রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে শুধু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকই নয়, যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুলিশও। রবিবার রাতে যাদবপুরে ‘তিলোত্তমার বিচার চাই’, ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’ ব্যানার লেখা একটি মিছিলেই উঠেছিল ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান।
সেই স্লোগানের জেরে কলকাতা পুলিশের তরফে পাটুলি থানায় দেশদ্রোহিতার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই স্লোগানের নেপথ্যে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। তাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৫-২০ জনকে চিহ্নিত করে ছবি সমেত বিস্তারিত তথ্য শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়ে দিয়েছেন গোয়েন্দারা। তালিকায় রয়েছেন যাদবপুরের কয়েক জন প্রাক্তনীও, যাঁদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে এ রাজ্যে দেশবিরোধী আন্দোলনে সরব হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে যখন বিধানসভা নির্বাচন চলছে তখন কলকাতায় এমন স্লোগান ওঠায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। কাশ্মীরের কোনও সংগঠনের সঙ্গে এই স্লোগান দেওয়া ব্যক্তিদের যোগাযোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Be the first to comment