ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে যাদবপুরের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ১২ দফা প্রশ্ন-সহ কড়া ইমেল পাঠানো হল। ইউজিসি-র নিয়মবিধি না মানা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হযেছে।যদিও দুদিন আগে গত ১৫ তারিখ যাদবপুরে গিয়ে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছিলেন, যাদবপুরের প্রাথমিক রিপোর্টে সন্তুষ্ট ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রতিনিধিদলের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা থাকলেও, তারা আসছেন না।শিক্ষামহলের আশঙ্কা, উত্তরে সন্তুষ্ট না হলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণে কোপ পরতে পারে।
কী জানতে চেয়েছে ইউজিসি? জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘মৃত্যুর আগে পড়ুয়াকে কী পদ্ধতিতে হস্টেলের রুম বরাদ্দ করা হয়েছিল ? অ্যান্টি র্যাগিংয়ের নম্বর, থানার নম্বর পড়ুয়াদের দেওয়া হয়েছিল ? নতুন পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ? হস্টেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন ?’ এমন ১২ দফা প্রশ্নের উত্তর চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ইমেল করেছে ইউজিসি। এরই পাশাপাশি, নতুন ছাত্রদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে করা সার্ভে রিপোর্টও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ‘র্যাগিং নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে চিঠি ইউজিসিকে পাঠিয়েছে তা সন্তোষজনক নয়। এ নিয়ে যাদবপুরকে চিঠিও পাঠিয়েছে ইউজিসি’। মোট ১০টি পয়েন্টে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর দিয়েছে। তিন্তু তাতে সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানানো হয়েছিল, তাদের ভূমিকা নিয়ে ইউজিসি সন্তুষ্ট হয়েছে। এমনকী, এর পরে প্রত্যেক পদক্ষেপে কীভাবে এগোচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়, সেটা জানাতে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে।
Be the first to comment