এনআরসি নিয়ে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি ৷ যারা নাগরিকত্ব পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি ৷ তাদের মনে ভয় ক্রমশ জাকিয়ে বসেছে ৷ চূড়ান্ত তালিকাতেও যদি জায়গা না পান ! এর মধ্যেই ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এলেন অসমের রাজ্যপাল জগদীশ মুখি ৷ তিনি বলেন, অসমের মত প্রতিটি রাজ্যের জন্যই একটি এনআরসি(ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস)-র অনুকরণে ভারতের প্রতিটি রাজ্যেরই আলাদা নাগরিকত্বের নথি তৈরি করা উচিত ৷ এতে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকবে ৷
অসম এনআরসি-তে জায়গা পাননি ৪০ লক্ষ ভারতীয় ৷ দেশে থেকেও নাকি ভারতের নাগরিক নন তারা ৷ তবে, দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত খসড়া বের হওয়ার পর অসমবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলেন জগদীশ ৷ এদিন পিটিআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘৩০ জুলাই একটি ঐতিহাসিক দিন ছিল ৷ তবে, খসড়ায় যাদের নাম ওঠেনি ৷ চূড়ান্ত তালিকায় কোনও ভারতীয়র নাম বাদ পড়বে না ৷’ অসমবাসীকে এভাবেই আশ্বস্ত করলেন জগদীশ মুখি ৷ পাশাপাশি, আবার সবকটি রাজ্যে এনআরসি তৈরির পরামর্শও দিলেন তিনি ৷ তিনি বলেন, ‘প্রতি ১০ বছর পর পর জনগণনা হয় ৷ সেই জনগণনা হয়ে যাওয়ার পর এনআরসি তালিকাটি আপডেট করতে হবে ৷’ এনআরসি তৈরির প্রসঙ্গে আবার যুক্তিও খাঁড়া করলেন তিনি ৷ বলেন, ‘কেন্দ্র এবং প্রতিটি রাজ্যের সরকারের জানার অধিকার রয়েছে যে, কারা ভিন দেশ থেকে এসে তাদের এলাকায় এসে বাস করছে ৷’
এর পাশাপাশি এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে অসমবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, চূড়ান্ত তালিকায় অসমে থাকা কোনও ভারতীয়র নামই তালিকা থেকে বাদ পড়বে না ৷ তা নিয়ে একেবারেই নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন অসমবাসী ৷ অসমে যারা ভারতীয় রয়েছেন তাদের প্রত্যেকের নাম থাকবে ৷’
প্রসঙ্গত, নাগরিকপঞ্জী তৈরির কথা ১৯৮৫ সালের অসম চুক্তি মোতাবেক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংই উত্থাপন করেছিলেন। তবে বর্তমান বিজেপি সরকার যেভাবে এই অভিযান চালিয়েছে তা অনভিপ্রেত বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা ৷ তবে, আগামী ৩০ অগাস্ট থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর অবধি অসমবাসী তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ডকুমেন্টস জমা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে অসম সরকার।
Be the first to comment