আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে গালিগালাজের ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ঘটনার যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে, এবার সেই সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠালেন তিনি। আগামিকাল (সোমবার) দুপুর ১ টার মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছ থেকে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। ভাইরাল ওই ভিডিয়োর একটি অংশ টুইটারে শেয়ারও করেছেন রাজ্যপাল। সঙ্গে লিখেছেন, “পরিস্থিতি যে কতটা উদ্বেগজনক, তা এই ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে তার স্পষ্ট প্রতিফলন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যসচিবকে বলা হচ্ছে, ঘটনার সম্পূর্ণ আপডেট যেন আগামিকাল দুপর একটার মধ্যে পাঠানো হয়। এ এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য। দুর্বৃত্তরা আইনের কোনও ভয় পাচ্ছে না।”
উল্লেখ্য, আলিয়ার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উপাচার্যকে গালিগালাজ করায় যে অভিযুক্ত, সে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি,২০১৯ সালে সে আলিয়া থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরেই তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে গালিগালাজ করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে টুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। টুইটারে তিনি লিখেছন, “উপাচার্য কেন্দ্রীয় অর্থ নয়ছয় করতে দিচ্ছেন না, এটাই মূলত রাগের কারণ। কিন্তু কেন এমন হল? তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাদের হাত মাথায় বলেই কি এল না পুলিশ?” সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকেও কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর অভিযোগ, এটাই এখন বাংলার সংস্কৃতি।
উল্লেখ্য, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে গালিগালাজের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে। রবিবার রাজারহাট মহম্মদপুরের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ। টেকনো সিটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে গিয়াসউদ্দিনকে। তবে অভিযুক্ত ছাত্রনেতার ছবি তুলতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। এর থেকেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। এত আড়াল কীসের জন্য? গ্রেফতারিতেই বা এত দেরি কেন? তৃণমূল-যোগের জল্পনাতেই কি এত আড়াল?
যদিও আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে গালিগালাজের ঘটনায় যে ভাবে তৃণমূলের নাম জড়িয়েছে, তাতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, “দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। অভিযুক্ত ছাত্র নেতা তৃণমূলের কেউ নয়।”
Be the first to comment