রাজ্যপাল জগদীপবাবুর গোঁসা হয়েছে। ১১ অক্টোবর ইন্দিরা গান্ধী সরণীতে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে তিনি সপরিবারে আমন্ত্রিত ছিলেন। তিনি আসা মাত্রই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে স্বাগত জানান। মুখ্যসচিব তাঁকে নিয়ে গিয়ে মঞ্চে বসান। অনুষ্ঠান শেষে তিনি বলেছিলেন “মুগ্ধ হয়েছেন”। হঠাৎ ৩ দিন পর তিনি প্রকাশ্যে তাঁর ক্ষোভ জানালেন। ক্ষোভের কারণ দুটি। ১) তিনি ভালো করে দেখতে পাননি। ২) তাঁকে সংবাদমাধ্যমে ‘ব্ল্যাক আউট’ করা হয়েছে।
ধরমবীর থেকে কেশরীনাথ, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যপালদের কাজ দেখার সুযোগ হয়েছে এই লেখকের। এমন হিংসুটে ব্যক্তি কেউই ছিলেন না। জগদীপবাবুর রাগের কারণ প্রতিটি ক্লাবের শিশু থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই হাত নাড়ছিলেন। চার ঘণ্টায় রাজ্যপালের দিকে কেউ একবারও হাত নাড়েন নি। যে কোটি কোটি লোক টিভিতে কার্নিভাল দেখেছেন তাঁরাও এই দৃশ্য দেখেছেন। আর জগদীপবাবুও দেখেছেন। এতে জগদীপবাবুর ঈর্ষা হয়েছে। ঈর্ষা রিপুকে জগদীপবাবু কন্ট্রোল করতে পারেন নি। তাই তিনি ক্ষেপে গিয়ে সেদিনকার সঙ্গে জরুরি অবস্থার সময়কালের তুলনা করেছেন।
অমিতাভ বচ্চনের ১৭০টি পুরানো জামাপ্যান্ট ২৫ লক্ষ টাকায় নিলাম হয়েছে। এটা জেনে হয়তো তিন খানেরই ঈর্ষা হবে। জগদীপবাবুর ওপর বঙ্গবাসীর করুণা হবে। কিন্তু জগদীপবাবুর দিল্লির প্রভুরা তাঁর এই আচরণে অসন্তুষ্ট হবেন। তাঁরা হয়তো ভাববেন কাকে খেলতে পাঠালেন? এতো ঈর্ষা রিপু প্রকাশ করে ফেলে। এমন করলে তো লোকে ভালো চোখে দেখবেন না।
দেবাশিস ভট্টাচার্য
সম্পাদক
১৬.১০.২০১৯
Be the first to comment