ভোটের পর রাজ্যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। মমতার পর আজ সোমবার শপথ নিলেন ৪৩ জন মন্ত্রী। কিন্তু এর মধ্যেও সরকারের পিছু ছাড়ছে না হিংসার অভিযোগ। সোমবার ফের এই ইস্যুতে সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ‘মানুষকে ভোট দেওয়ার মূল্য চোকাতে হয়েছে’ বলে এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ খোলেন তিনি। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি গোটা বিশ্ব থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ দিন তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘হিংসা কবলিত জেলাগুলি পরিদর্শন করতে চেয়েছিলাম আমি। এটা আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব। রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা করতে বলা সত্ত্বেও সাড়া মেলেনি।’ জগদীপ ধনখড় দাবি করেন, গোটা বিশ্ব থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্বেগজনক খবর আসছে বলে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল।
তিনি বলেন, ‘গোটা বিশ্ব জানে সংস্কৃতির পীঠস্থানে কী হচ্ছে।’ রাজ্যবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘উদ্বেগের কারণ হল, ভোট দেওয়ার অধিকার প্রয়োগের দাম দিতে হচ্ছে আপনাদের। আপনার ভোট যদি মৃত্যুর কারণ হয়, ভোটের জন্য যদি লুঠের শিকার হতে হয়, আপনার বাড়ি ঘর ভাঙা হয়, তাহলে সেখানেই সংবিধান শেষ।’ এরকম চললে গণতন্ত্র এগোবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাজ্যপাল আরও জানান, ওই সব এলাকায় যেতে চেয়ে হেলিকপ্টার চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু তাঁকে পাইলট ও হেলিকপ্টার দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি, মুখ্যসচিব ও ডিজির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তাঁরা এলেও কোনও তথ্য, কোনও রিপোর্ট নিয়ে আসেননি রাজভবনে। রাজ্যপালের কথায়, ‘আমি ব্যাথিত। আমি হতাশ।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই সচিবের নেতৃত্বেই বাংলায় এসেছে চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। রাজ্য থেকে ফেরার পর ওই দল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট জমা দেবে। ভোটের ফল প্রকাশের পরেই রাজ্যে হিংসার ঘটনার অভিযোগ তুলে রিপোর্ট তলব করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
Be the first to comment