হাওড়া পুরনিগমের বিল নিয়ে বিভ্রান্তি জিইয়ে রইল শনিবারও। হাইকোর্টে এজি যখন দাবি করেছেন, এই বিলে সই করে দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তখন টুইটারে রাজ্যপাল জানালেন, তিনি এরকম কোনও বিলে সই-ই করেননি। অন্যদিকে এই একই বিষয়ে সরব হয়েছে বিজেপিও। টুইট করে বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য জানিয়েছেন, আদালতকেও বিভ্রান্ত করছে রাজ্য।
শনিবার টুইট করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানান, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মারফৎ আমি জানতে পারছি হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২১-এ নাকি আমি সই করেছি। এ খবর একেবারেই ঠিক নয়।’ একই সঙ্গে রাজ্যপাল আরও ব্যাখ্যা তলব করেছেন হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২১ নিয়ে।
কিন্তু শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টে পুরভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, হাওড়া ও বালি পুরসভা সংক্রান্ত যে বিল তাতে সই করেছেন রাজ্যপাল। তাই সেখানে ভোট হতে আর কোনও সমস্যা নেই। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চেই এ কথা জানান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল।
প্রশ্ন এখানেই, রাজ্যপাল বলছেন তিনি কোনও বিলে সই করেননি। অথচ রাজ্যের এজি তা হলে কোন তথ্যের ভিত্তিতে আদালতে এই দাবি করলেন। শুক্রবারও টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এমন কোনও বিলে তিনি সই করেননি। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘হাওড়া পুরনিগম সংক্রান্ত বিলের বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন।’ শনিবার তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন কোনও বিলে তিনি সই করেননি।
হাওড়ার ভোট নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিল প্রথম থেকে। কারণ, এতদিন হাওড়া পুরসভার অধীনেই ছিল বালি পুরসভা। বালি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ড নিয়ে হাওড়ার মোট ওয়ার্ড ছিল ৬৬টি। গত ১২ নভেম্বর বালিকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো সদ্য অনুষ্ঠিত বিধানসভা অধিবেশনে বিল আনা হয়। ‘মাইক্রো লেভেলে নাগরিক পরিষেবা’ পৌঁছে দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়। কিন্তু বিল পাশ করানো হলেও রাজ্যপালের সই ছাড়া তা আইন হচ্ছেল না।
এদিকে সংশোধনী বিল পাশ হলে তার পরে আইন করে বালি পুরসভা আলাদা হবে। বালিকে ধরে হাওড়ায় মোট ৬৬টি ওয়ার্ড। বালি আলাদা হলে সেখান থেকে ১৬টি ওয়ার্ড বাদ যাবে। বাকি ৫০টি ওয়ার্ড নিয়ে হাওড়া পুরসভা হবে। কিন্তু যখন ভোটের কথা বলা হয়েছিল তখন হাওড়া ৬৬টি ওয়ার্ডের কথা বলা ছিল। এ নিয়েও একটা জটিলতা রয়েছে।
Be the first to comment