বিভিন্ন দফতরে কনসালটেন্ট নিয়োগের জন্য গত মাসেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নবান্ন। রাজ্যের প্রায় ৪০টি দফতরে কনসালটেন্ট ও সিনিয়র কনসালটেন্ট নিয়োগের কথা। কিন্তু এই নিয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত, এবার সেই প্রশ্ন তুলে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
গত ২৬ নভেম্বর রাজ্যের প্রায় চল্লিশটি দফতরে কনসালটেন্ট ও সিনিয়র কনসালটেন্ট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় রাজ্যের সচিবালয় নবান্নের তরফে। এবার এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবার এ নিয়ে টুইট করেন তিনি। সেখানেই জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিয়ে মুখ্যসচিবকে রাজভবনে যেতে হবে। স্বভাবতই রাজ্যপালের এই টুইট ঘিরে নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হল রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে।
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের বহু প্রকল্প। সেগুলি আরও ভালভাবে নজরদারির জন্য বিভিন্ন দফতরে পরামর্শদাতা ও পেশাদার পরামর্শদাতা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। যদিও এই নিয়োগ নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিজেপি।
নবান্নের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই নিয়ে টুইট করেন। তিনি লিখেছিলেন, বাংলার শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের চাকরির জন্য বাইরে চলে যেতে হচ্ছে। এদিকে রাজ্য সরকার এমন লোকজনকে চাকরি দিচ্ছে, যাঁরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রাইভেট সংস্থায় কাজ করছেন কিংবা সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন বা সরকারি ক্ষেত্রে কাজ করেছেন। এ রাজ্যে যুবরা যে কতটা অবদমিত এই ঘটনা সে দিকটাই তুলে ধরছে।
এবার রাজ্যপালও এই পরামর্শদাতা নিয়ে রাজ্যের কাছে জবাব তলব করল। রাজভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। তথ্য-সহ তাঁকে রাজভবনে যেতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত সোমবারই বিধানসভা ভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে সরব হয়েছিলেন।
লোকায়ুক্ত, মানবাধিকার কমিশনার নিয়োগ কিংবা হাওড়ার বিলে সই করা, সমস্ত ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অধিকার ও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উস্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমি মনে করি প্রত্যেকের নিজস্ব কাজের সাংবিধানিক এক্তিয়ার আছে। একটা সীমা আছে। আমার যা কাজ আমি করব, ওনার যা কাজ উনি করবেন।” এই বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার পরামর্শদাতা নিয়োগ নিয়ে সরব রাজ্যপাল।
Be the first to comment