আবারও রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত। ইস্যু সেই একই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাই যেতে বাধা। সেই মর্মে আবারও মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ৭ দিন সময় দিলেন রাজ্যপাল। এরপরও রিপোর্ট না এলে, তা ‘অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুল’ ভাঙা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
বুধবার সকালে একটি টুইট করেন রাজ্যপাল। তাতে লেখেন, “রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হল। কেন শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাইয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়, তার জবাব দিতে হবে। তার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। যদি তা অমান্য হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে শাসকের আইন, আইনের শাসন নয়।”
প্রসঙ্গত, এই ইস্যুতেই গত বুধবারই একটি পোষ্ট করেন রাজ্যপাল। ইস্যু ছিল তলব সত্ত্বেও রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজির রাজভবনে অনুপস্থিতি। তাতে তিনি লিখেছিলেন, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। পরপর তিন দিন তাঁরা সেই তলব এড়িয়ে গিয়েছেন। অর্থাৎ রাজভবনে আসেননি তাঁরা। কার নির্দেশে তাঁরা রাজভবন ‘বয়কট’ করেছেন, সে প্রশ্ন তুলে দুদিন আগেও একটি টুইট করেছিলেন তিনি। এদিনও করলেন। বিষয়বস্তু একই। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, মুখ্যসচিব ও ডিজির রাজভবনে না আসাটাকে তিনি ‘বয়কট’ বলেই উল্লেখ করেছেন। রাজ্যপালের কথায়, এটি একটি অমার্জনীয় সাংবিধানিক গাফিলতি।
একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছিলেন রাজ্যপাল। সঙ্গে এইভাবে তিন বার তলব সত্ত্বেও মুখ্যসচিব ও ডিজির রাজভবন ‘বয়কট’ একটি ‘কনস্টিটিউশন্যাল ল্যাপস’ অর্থাৎ সাংবিধানিক ক্রুটি বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। তারও আগে ১০ জানুয়ারিও মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে একই ইস্যুতে কৈফিয়ত তলব করেন রাজ্যপাল। সঙ্গে টুইটে লেখেন, “কার নির্দেশে বয়কট?”
প্রসঙ্গত, নেতাই সফরে শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে রাজভবনে তলব করেছিলেন। কিন্তু করোনা ও গঙ্গাসাগরের কারণে ‘নির্দেশ’ অনুযায়ী যাচ্ছেন না, জানিয়ে পাল্টা চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি। এরপর রাজ্যপাল ফের প্রশ্ন তোলেন, কার নির্দেশে তাঁরা রাজভবন ‘বয়কট’ করেছেন? যদিও সে প্রশ্নেরও কোনও উত্তর মেলেনি।
, নেতাইতে কেন যেতে দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। নেতাই, বাঁকুড়া, কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর সফরসূচিতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে, আদালতে এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কেন বার বার তাঁর সফরসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে আদালতে আবেদন জানান শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বাড়ির সামনে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
Be the first to comment