বিকেল প্রায় ৪ টের সময় রাজভবনে ঢুকেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সঙ্গে ছিলেন অর্থসচিব মনোজ পন্ত। রাজ্যের দুই সচিবকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তখন থেকে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয় তাঁদের। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বৈঠকের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে আশ্বস্ত করেছেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি তথ্য দেওয়া হবে রাজভবনকে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের তিনটি বিলে সম্মতি দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই তিনটি বিল হল – ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল (১), ২০২২; ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল (২), ২০২২ এবং পশ্চিমবঙ্গ অর্থ বিল, ২০২২।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ইতিমধ্যেই একটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, তিনটি বিলে সম্মতি দেওয়ার বিষয়টি। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি তথ্য দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন, সেই কথাও টুইটে উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, রাজ্যপাল তিনটি বিলে সম্মতি জানালেও এখনও পর্যন্ত অনেক তথ্যই তিনি পাননি। সেই সব তথ্য আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যপালকে দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন শহরে নেই। পাহাড় সফরে গিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে বুধবার দুপুরেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় একটি টুইট করেন। তাতে তিনি জানান, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃ্ষ্ণ দ্বিবেদী এবং অর্থসচিব মনোজ পন্তকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন তিনি। টুইটারে তিনি জানিয়েছিলেন, সাংবিধানিক বিষয়গুলি মেনে চলার ক্ষেত্রে ক্রমাগত অবহেলা দেখা যাচ্ছে। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্যই এই তলব। সেই সঙ্গে ৩ মার্চের একটি টুইটও তুলে ধরেছিলেন তিনি। ওই দিনও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। রাজ্যপালের দাবি অনুযায়ী, বৈঠকে মুখ্যসচিব আশ্বস্ত করেছিলেন, সমস্ত পেন্ডিং ইস্যু ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যপালকে জানানো হবে। কিন্তু তারপরও রাজ্যপালের কাছে বাকি থাকা তথ্য এসে পৌঁছায়নি। সেই কারণেই বুধবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবকে।
Be the first to comment