‘সব প্রশ্নের উত্তরের প্রয়োজন নেই’, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ ধনকড়ের

Spread the love

আবারও রাজ্য সরকার-রাজ্যপাল সংঘাত ৷ এবার সংঘাত হেলিকপ্টার নিয়ে। জানা গিয়েছে, ফারাক্কার এসএনএইচ মহাবিদ্যালয়ের রজত জয়ন্তীতে সস্ত্রীক যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ মুর্শিদাবাদে যাওয়ার জন্য রাজ্যের কাছে হেলিকপ্টার চেয়েছিলেন রাজ্যপাল ৷ কিন্তু রাজ্যপালের সেই আর্জি খারিজ করে দেয় নবান্ন ৷ বৃহস্পতিবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয় ৷ রাজ্যের কাছ থেকে হেলিকপ্টার চেয়ে না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত সড়কপথেই ফারাক্কায় যাচ্ছেন রাজ্যপাল ৷

রাজভবনের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফারাক্কা থেকে রাজ্যপালের যাওয়ার কথা বীরভূম সার্কিট হাউজে। সেখান থেকে বর্ধমান সার্কিট হাউজ হয়ে রাত দশটায় রাজভবনে ফেরার কথা। তাই ভোর পাঁচটার সময়ে হেলিকপ্টার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সন্ধে পর্যন্ত নিরুত্তাপ বলে অভিযোগ করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। সেখানে লেখা হয়েছে, এক দিনে ৩০০ কিলোমিটার যাতায়াত করাটা মুশকিল। তাই হেলিকপ্টার চাওয়া হয়েছিল। রাজ্যপালের প্রেস সচিব মানব বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার জানিয়েছে হেলিকপ্টার দেওয়ার মতো উপযুক্ত পরিস্থিতি নেই।

এনিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টার নিয়ে বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন। আমরা জানতে চাই রাজ্যপালের কেন হেলিকপ্টার লাগবে? এটা তো মানুষের টাকা! এখানেই থামেননি রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্যপাল যতটা না রাজ্যপালের কাজ করছেন তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক নেতা হিসেবে কাজ করছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

এদিকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বক্তব্যের পাল্টা জবাব রাজভবন আর দেয়নি। পরে রাতে প্রেস বিবৃতি জারি করে রাজভবন জানিয়ে দেয় সড়কপথেই ৬০০ কিলোমিটার যাবেন রাজ্যপাল ৷

এদিকে সরকারের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এরপরই নাম করে তাঁকে ‘বিজেপির মুখপাত্র’ বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার, সড়ক পথে মালদা যাওয়ার পথে জগদীপ ধনকড় বলেন, ‘সব কথার উত্তর দিতে নেই। এগুলি উপেক্ষা করার মতো বিষয়।’ উদাহরণ হিসাবে তিনি ক্রিকেটের নো-বলের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। শুক্রবার সড়ক পথেই তাই মালদার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। দীর্ঘ পথ যাওয়ার মাঝে বর্ধমান সার্কিট হাউসে বিশ্রাম নেন তিনি। বলেন, ‘প্রয়োজনে হাজার কিলোমিটার পথ সড়ক পথে যেতে দ্বিধা করব না। মুখ্যমন্ত্রী কিছু বললে আমি ২৪ ঘন্টার মধ্যে উত্তর দিয়ে থাকি। কিন্তু, আমার ক্ষেত্রে তা হয় না। মুখ্যমন্ত্রী কিছু বললে আমার কিছু এসে যায় না।’

এদিকে শুক্রবার দুপুরেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক শেষে বাংলার রাজ্যপালকে নাম না করে ‘বিজেপির মাউথপিস’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত তিন মাসে একাধিক ইস্যুতে সংঘাত হয়েছে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ও নবান্নের। এমনকি দুর্গাপুজোর কার্নিভাল নিয়েও সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন ধনকড়। আর এদিন নতুন সংঘাত হেলিকপ্টার ইস্যুতে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*