মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ব্যারাকপুর গান্ধীঘাটে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ অর্জুন সিং। সেখান থেকে সংবাদ মাধ্যমের সামনে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ফের একবার সরব হলেন রাজ্যপাল। বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতেও ছাড়লেন না এদিন।
প্রথমে বাপুকে স্মরণ করেন জগদীপ ধনখড়। বলেন, “গান্ধীজী অহিংসা ও শান্তির প্রতীক ছিলেন। তিনি আজীবন হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। প্রজাতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় হিংসার কোনও জায়গা নেই। হিংসা ও প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থা একে অপরের বিরোধী।” এরপর বিধানসভা ভোট ও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একের পর এক কটাক্ষ করতে শুরু জগদীপ ধনখড় বলেন, “আমার অনুরোধ বিধানসভা ভোটে যে পরিস্থিতি আমাদের দেখতে হয়েছে সেই পরিস্থিতি যেন আর দেখতে না হয়।
গত বছর এই রাজ্যে ভোটের সময় হিংসার তণ্ডব নাচ দেখেছিলাম আমরা। যেভাবে লুঠ,ধর্ষণ, মারধর, খুন হয়েছে স্বাধীনতার পরে এই ধরনের ঘটনা কখনও হয়নি। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নেওয়ার পরই আমি ওনাকে অনুরোধ করেছিলাম বিষয়টির উপর যেন গুরুত্ব দেন। কারণ এটা চিন্তার বিষয়। আমরা পশ্চিমবঙ্গের পবিত্র ভূমিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পারব না। আর ভোটে যেন হিংসা না হয়। অনেক চেষ্টা করেছিলাম। এখন বাংলায় আইনের নয়, শাসনের রাজ্য চলছে।” পাশাপাশি সংযোগ করেন, “আমার দায়িত্ব রয়েছে, যাতে আমি এই বাংলার জনতার সেবা করি। পরিস্থিতি যতই সঙ্গীন হোক, আমি আমার কর্তব্য করেই যাব।”
এরপর রাজ্যের বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাও করতে চেয়েছেন জগদীপ ধনখড়। বলেন, “মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেছিলেন যে তিনি তাঁর সব কাজ ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী করবেন। তাই এই সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের কাছ থেকে আমি মুখ্যমন্ত্রী কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যেন এই খুন, জখম, হিংসা, ধর্ষণের বিষয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আলোচনায় বসেন। প্রজাতন্ত্র এটাই চায় যেন শাসক তাঁর সঠিক কর্তব্য পালন করে। আমাদের ব্যক্তিগত ইগোর বাইরে বেরিয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের সেবা করতে হবে।”
Be the first to comment