রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর এবার সেই ইস্যুতে কথা বলতেই সরাসরি রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানালেন রাজ্যপাল। বগটুই-কাণ্ডের পর নতুন করে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। রামপুরহাটের ওই হত্যাকাণ্ডের পর ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যপাল। আর তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠালেন তিনি। মঙ্গলবার পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, যাতে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই রাজ ভবনে আসেন মমতা।
এবারই প্রথম নয়, আগেই রাজভবনে ডাকা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে এবার, এই আমন্ত্রণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সোমবার সকালেই দিল্লিতে শাহের সঙ্গে জগদীপ ধনখড়ের দীর্ঘ বৈঠক হয়। কী ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি কেউই। তবে, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যে আলোচনার বিষয় ছিল, তা অনুমান-যোগ্য।
সম্ভবত, রাজ্য পুলিশের ভূমিকার কথাও বলেছেন রাজ্যপাল। বোমা-বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেওয়ার পরই যে ভাবে তৎপরতা শুরু হয়েছে, তা আলোচনায় উঠেছিল বলে সূত্রের খবর। আর এবার মমতার মুখোমুখি হতে চান রাজ্যপাল।
বগটুই-কাণ্ডে আদালতের নির্দেশে শুরু হয়েছে সিবিআই তদন্ত। কিন্তু শাসক দল বারবার বলেছে, সিবিআই তদন্তে যদি ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাহলে তারাও ছেড়ে কথা বলবে না। এমনকি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার বার্তাও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্য নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। কার্যত বার্তা দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই তদন্ত এড়িয়ে যাচ্ছেন। রামপুরহাটের ঘটনা নৃশংস বলে উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল।
এর আগে বগটুই ইস্যু নিয়ে চিঠি বিনিময় হয়েছে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যপাল যাতে এই ইস্যুতে কোনও মন্তব্য না করেন, সে কথা চিঠিতে বলেছিলেন মমতা। জবাবে রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘এরকম একটি ঘটনা দেখার পর আমি চুপ করে রাজ ভবনে বসে থাকতে পারি না। আমি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারি না।’ তাতে সাংবিধানিক পদের অবমাননা করা হয় বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
Be the first to comment