সংঘাতের আবহ বরাবরই বর্তমান রাজ্য সরকার আর রাজ্যপালের মধ্যে। এমনকি বিধানসভা অধিবেশন নিয়েও তৈরি হয়েছে জটিলতা। তবে, রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল যে ঘটনাকে ‘ভুল’ বলে উল্লেখ করছেন, তা ‘ভুল’ বলে মানতে নারাজ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাই বিধানসভা অধিবেশনের সময় নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা কাটাতে মঙ্গলবারই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এ দিন সকালে টুইট করে সে কথা জানিয়েছেন খোদ রাজ্যপাল। এ দিন সকাল ১০ টায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান মুখ্যসচিব। সেই মতো রাজভবনে পৌঁছেও যান তিনি। পাশাপাশি, ৭ মার্চ দুপুর ২টোয় অধিবেশনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে রাজ্যপালকে।
কয়েক দিন আগেই এক টুইটে রাজ্যপাল উল্লেখ করেছেন, রাত ২ টোয় বিধানসভা অধিবেশন ডাকা হচ্ছে। এই ঘটনা ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। তিনি দাবি করেছিলেন, মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেই এই ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়, কেন এ ভাবে রাত ২ টোয় বিধানসভা অধিবেশন ডাকতে চাইছে সরকার, তার জবাবও তলব করেন তিনি। মন্ত্রিসভার তরফে যে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, তার প্রতিলিপিও টুইটারে পোস্ট করেছিলেন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ডেকেও পাঠিয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, আদতে নবান্নের পাঠানো চিঠিতেই রাত ২ টোর কথা লেখা ছিল। এএম ও পিএম-এর সমস্যাতেই এই বিভ্রান্তি। ওই চিঠিতে প্রথমে দুপুর ২ টো (2 P.M.)-র কথা উল্লেখ করা হলেও, শেষের দিকে লেখা ছিল রাত ২ টো (2 A.M.)। আর সেটাই হয়ে ওঠে বিভ্রান্তির কারণ।
তবে, এই ঘটনাকে ‘টাইপোগ্রাফিকাল ভুল’ বলে উল্লেখ করেছিল শাসক দল। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তাঁর টুইটে দাবি করেছিলেন, টাইপিংয়ের ভুলের কারণেই এই বিভ্রান্তি। তবে বিরোধীদের দাবি, ছিল জেনে বুঝেই এই ভুল করা হয়েছে।
এরপর গতকাল, সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার তরফ থেকে আগামী ৭ ই মার্চ দুপুর দুটোর সময় অধিবেশন ডাকা হচ্ছে বলে সংশোধন করে রাজ্যপালকে পাঠানো হয়। সেই বিষয়ে এ দিন রাজ্যপাল ও মুখ্যসচিবের মধ্যে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Be the first to comment